মাঝে মাঝে মনে হয়
ফস্কে যাই আমি।
সকলের সব কিছু থেকে
ফস্কে যাই আমি।
বাঁধতে সবাই চায়;
কিন্তু কেউই
মেঘলা কালো দিনে
বাঁশরী হতে চায় না।
অথচ
সকলের হাতেই বাঁশি।
শুধু কি বাঁশি?
ঘুড়ি লাটাই আচার গোলাপফুল
আরও কত কি!
বৃক্ষ নদী পাহাড়
তারাও ডাকে আমায়!
আয় আয়
এখানে ছারপোকা ডিগবাজি খায়।
এখানে নীলাকাশ মাটি ছুঁয়ে যায়।
এখানে বাল্মীকি বিশ্বামিত্র
ছিলিম ছিলাম গাঁজা ফুঁকে যায়।
অথচ সভ্য জীবন?
তার বুকে চোখে
রত্নভান্ডার যে নেই তা নয়।
কিন্তু সে
কোন কিছুর দখল দিতে চায় না।
বাঁধতে সে চায়,
কিন্তু সে
কোন কিছুর দখল দিতে চায় না।
কালো কালো চোখে
উঁচু উঁচু বুকে
কতবার কত লহমায়
ডেকেছে কত নারী।
ডেকেছে কাজল, ডেকেছে মাধুরী,
ডেকেছে পর্ণা, ডেকেছে ঋতাম্ভরী।
রঙিন রঙিন বাহানায়,
মালবিকার মাসতুতো বোন-
সেও ডেকেছে আমায়!
অথচ কারুরই ডাকে
কখনো সাড়া দিইনি আমি।
কারুরই ডাকে
সেই 'ডাক' খুঁজে পাই নি।
অথচ মালবিকা
কখনো ডাকে নি আমায়!
তবুও মনে হয়-
কতবার সে ডেকেছে আমায়!
'ফস্কে যাবো, ফস্কে যাবো'
কত ভেবেছি আমি।
এখনও যে ফস্কে যাই নি,
তার কারন
মালবিকার ডাকের হাতছানি।
এদিকে অরণ্য,
সেও বারবার ডাকে আমায়।
সে বলে-
'তুই বন্ধনহীন উলঙ্গ জংলী!
সভ্যতা তোর জন্য নয়।
এখনো কেন আছিস সেথায়? '
নাঃ আর দেরী নয়।
এবার সত্যিই
ফস্কে যাবো আমি।
হে অরণ্য ভাই -
একটু,
আর একটু সবুর করো ভাই।
শুনছো তোমরা?
তোমাদের কারো সাথে
মালবিকার দেখা হলে বলো-
'ফস্কে গেছি আমি।'
© Arun Maji
Painting: Emile Lecomte
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem