তিতলির বিয়ে হয়ে গেছে
আমি গেছিলাম।
জানিস?
কমলা শাড়িতে তিতলিকে দারুন লাগছিলো।
ওর বরটাও খুব সুন্দর
লম্বা ফর্সা আর হ্যান্ডসাম।
দারুন একটা চাকরি করে।
জানিস?
আমারও ইচ্ছে করে
বিয়ে করি।
মা তো রাতদিন মাথা খেয়ে যাচ্ছে।
আমারও ইচ্ছে করে
জবা লাল বেনারসী শাড়ি পরে
ছাদনাতলায় বসে...
আচ্ছা তিন্নি,
বিয়ে সবাইকে করতে হয়
তাই না?
পশু পাখি গাছ
এদেরও কি বিয়ে হয়?
এদেরও কি ছাদনাতলায়
কেউ সানাই বাজায়?
মন্ত্র পড়ে?
উলু দেয়?
কই আমরা তো তা দেখি না।
মানুষেরও অনেকে
বিয়ে করে না।
তারা কি অসভ্য বর্বর?
অথচ দেখ
বিয়েতে ভালোবাসার মৃত্যু ঘটে।
প্রেম এক যাত্রা
বিয়ে এক স্থবির দেওয়াল যুক্ত গন্তব্য।
যে গন্তব্যে পৌঁছলে
প্রেম আর মানুষের কল্পনার
অবশ্যাম্ভাবী মৃত্যু ঘটে।
যাত্রা মানুষকে উজ্জীবিত রাখে।
আর গন্তব্য মানুষকে
ক্লান্তি আর অবসাদের
কালো গহবরে নিক্ষেপ করে।
যাত্রা মানুষকে দেবত্বে আহ্বান করে।
গন্তব্য মানুষকে
অলস কর্মবিমুখ করে।
মৃত্যু জেনেও
মানুষ নিশ্চিত গন্তব্যে
চির কয়েদী থাকবে কেন?
চরৈবেতি চরৈবেতি যদি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মূল মন্ত্র
মানুষ তাহলে স্থবিরতা আঁকড়ে ধরবে কেন?
আচ্ছা তিন্নি
ইচ্ছে তোর করে না
মানুষের বন্ধন যন্ত্রণা শেষ হোক?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem