এক দাদা আমাকে জিজ্ঞেস করেছে-
"আচ্ছা দাদা, অনেক অভিজ্ঞ লোক আমাকে পরামর্শ দেয়, প্রেমে না পড়তে। প্রেম বড় যন্ত্রণার! তোমার কি অভিমত? "
গুরুতর প্রশ্ন! সত্যিই তো, প্রেম বড় যন্ত্রণার! বেশ-
১. তোমাদেরকে আমার প্রথম প্রশ্ন
প্রেমে কি কেউ পড়ে? অনেকদিন আগে আমি লিখেছিলাম-
"প্রেমে কেউ পড়ে না সখী
প্রেম যে হয়ে যায়।
রাধার পিছল চোখে কানু
হড়কে হড়কে যায়।"
আজ আবার বলি-
"প্রেমে কেউ পড়ে না সখী
প্রেম যে হয়ে যায়।
বাগানে ফুল তুলে রাধা
কানুর বাঁশি খুঁজে বেড়ায়।"
২. তোমাদেরকে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন
যন্ত্রণা কি?
ভিন্ন জনের কাছে যন্ত্রণার রূপ ভিন্ন। যন্ত্রণা আমার কাছে- সুখে পৌঁছনোর পথ। রাত পেরোলে, তবে তুমি দিনে পৌঁছবে। পাঁকের দুর্গন্ধ সহ্য করলে, তবে তুমি পদ্ম ফুটাতে পারবে। সহস্র টন কয়লা ভাঙলে, তবে তুমি এক খন্ড হীরে খুঁজে পাবে।
যন্ত্রণা বলে কিছু নেই। যন্ত্রণা সুখেরই আবরণ। সুখের নরম তুলতুলে শাঁসে পৌঁছতে হলে, তোমাকে যন্ত্রণার কঠিন স্তরটা ভাঙতে হবে। নারকেলের শক্ত খোলস ভাঙতে পারলে, তবে তুমি নারকেলের শাঁস খেতে পারবে।
কাজেই যন্ত্রণা কিন্তু যন্ত্রণা নয়। যন্ত্রণা হলো সুখের শক্ত ঘোমটা। জীবনে যা কিছু ভালো, তাদের সব কিছুরই একটা শক্ত ঘোমটা আছে। সুন্দর গোলাপের তীক্ষ্ণ কাঁটা আছে। মালবিকার ঠোঁটের মধুতে অমৃত আছে, কিন্তু নখে বিষ আছে।
অমল কি বলে জানো? সে বলে- যেদিন মালবিকা আমাকে না চাইতেই চুমু দেয়, সে চুমু তত মিষ্টি লাগে না। কিন্তু যেদিন মালবিকার চুমু আদায় করতে গিয়ে, তার তীক্ষ্ণ নখের আঁচড় খেতে হয়; সেদিনের চুমুটা কিন্তু অমৃত অপেক্ষাও বেশি মিষ্টি।
এবার তোমরাই ভাবো, প্রেম কতটা যন্ত্রণার!
© অরুণ মাজী
Painting: Xie Chuyu
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem