ধার্মিক দেশে নারীরা নিরাপদ নয়।
যেমন নিরাপদ নয়
শ্রী চৈতন্য যীশু খ্রিস্ট নিজে।
ধার্মিক দেশে শিশুরা নিরাপদ নয়।
যেমন নিরাপদ নয় বামিয়ানের বুদ্ধ
বা কংসের কারাগারে জাত
শিশু শ্রী কৃষ্ণ।
ধার্মিক দেশে
চৈতন্যের জাগরণ কখনো নিরাপদ নয়।
কারও চেতনা যখন ফুলে ফেঁপে
ষোড়শী নারীর সুদৃশ্য বক্ষদেশের মতো সুন্দর হয়ে উঠে;
রাজার পোষা শকুন তখন
তাকে ধর্ষণে উদ্যত হয়।
ধর্মগুরুর নেকড়ে দৃষ্টি তখন
তাকে বলাৎকারে উদ্যত হয়।
আম গাছের উঁচু ডালে বসে
পৃথিবীটা একটু পরখ করে দেখো-
দেখবে
যে দেশে যত বেশি ধর্মের আড়ম্বর
সে দেশে তত বেশি অন্ধকার।
আহার নেই। ওষুধ নেই।
রাস্তা নেই। আলো নেই।
আছে কেবল হিংসা, দাঙ্গা, ধর্ষণ, রক্তপাত
আর বাতাসে ভাসতে থাকা
ধর্মের দালাল কণ্ঠে বিকৃত ঈশ্বরবাণী।
ধর্মের উল্লাস আর দরিদ্র্য মানুষের উল্লাস
কখনো সহাবস্থান করে না।
যে দেশে
ধর্ম বিকট উল্লাসে গান গায়
সে দেশে গরীবরা নিঃশব্দে ধুঁকে ধুঁকে মরে।
অথচ আশ্চর্য্যের ব্যাপার কি জানো?
এই দরিদ্র্যরাই কিন্তু
ঈশ্বরকে প্রাণ দিয়ে পূজা করে।
ধার্মিক দেশে ঈশ্বর নিরাপদ নয়।
যে সব দেশ ম্লেচ্ছ আর উলঙ্গ
সে সব দেশে
ঈশ্বর ঘর ভাড়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে।
ধর্মের আস্ফালন ঈশ্বরকে যতটা যন্ত্রণা দেয়
মানুষকে কি ততটা দেয়?
© অরুণ মাজী
অনেক সুন্দর একটি লেখা। লেখাটি বুঝবার অনুভুতি অনেকের নেই। আপনি লিখে যান অব্যাহতভাবে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Sorry apner lekha gulo Amar simito Gyan k sommridho Kore.