হযরত ইব্রাহীম(আঃ) এবং হযরত ইসমাইল(আঃ) যখন আল্লাহর ঘর তৈরী করছিলেন
তখন ইব্রাহীম(আঃ) উক্ত ঘরের নির্মাণ কাজ কবুল করার জন্য
আর নিজের ভবিষ্যৎ সন্তানাদিদের মুসলমান হয়ে থাকার জন্য
আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করার পর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বা কেয়াম করে নবী(সঃ) এর আবির্ভাব আরবে ও হযরত ইসমাইলের বংশে হওয়ার জন্য এভাবে দোয়া করেছেনঃ
"হে আমার রব! তুমি এই আরব ভুমিতে আমার ইসমাইলের বংশের মধ্যে হতেই সেই মহান রাসুলকে প্রেরণ করো-যিনি তোমার আয়াত সমুহ তাদের কাছে পাঠ করে শোনাবেন, তাদেরকে কোরআন সুন্নাহর বিশুদ্ধ জ্ঞান শিক্ষা দেবেন এবং বাহ্যিক ও আত্বিক অপবিত্রতা থেকে তাদের পবিত্র করবেন"।
সুরাহ আল বাকারা ১২৯ আয়াত ।
এখানে দেখা যায় হযরত ইব্রাহীম(আঃ) রাসুলুল্লাহ সঃ এর ৪০০০ বৎসর পুর্বেই মুনাজাত আকারে তাঁর আবির্ভাব, তাঁর সারা জিন্দেগীর কর্ম চান্চল্য ও মাণুষের আত্বার পরিশুদ্ধির ক্ষমতা বর্ননা করে হুজুর(সঃ)এর মিলাদের সারাংশ পাঠ করেছেন এবং এই মুনাজাত বা মিলাদ দন্ডায়মান অবস্থাই করেছেন যা পুর্বের দুটি আয়াতের মর্মে বুঝা যায় ।
ইবনে কাছির তাঁর বেদায়া ও নেহায়া গ্রন্থে ২য় খন্ডে ২৬১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন"দোয়া ইব্রাহিমু আলাইহি ওয়া সাল্লামু ওয়াহুয়া কায়েমুন"অর্থাৎ উক্ত দোয়া করার সময় ইব্রাহীম(আঃ) দন্ডায়মান ছিলেন ।
নবী করিম(সঃ) বলেণ "আনা দুয়াওতু ইব্রাহীমা" "আমি হযরত ইব্রহীমের(আঃ) এর দোয়ার ফসল।"
হযরত ইব্রাহীম(আঃ) আল্লাহর নিকট থেকে চেয়ে আমাদের প্রিয় নবী(সঃ) কে আরবের ইসমাইল(আঃ) এর বংশে নিয়ে এসেছেন।এটা উপলব্ধির বিষয়।আশেক ছাড়া এ মর্ম অন্য কেউ বুঝবে না।বর্তমান মিলাদ শরীফে রাসুলে পাঁকের আবির্ভাবের যে বর্ননা দেয়া হয় তা হযরত ইব্রাহিম(আঃ) এর দোয়ার তুলনায় সামান্যতম অংশ মাত্র।সুতরাং আমাদের মিলাদ শরিফ পাঠ ও কিয়াম হযরত ইব্রাহীম আলাহিস সালামেরই সুন্নাত।
(দেখুন বেদায়া ও নেহায়া ২য় খন্ড ২৬১ পৃষ্ঠ)
((সুত্রঃ মুফতি আব্দুল আলী কাদেরী))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem