সুখী হতে চাই
সকলেই সুখী হতে চাই।
সকলেই-
ছেঁড়া ছেঁড়া কাপড় দিয়ে
নকশী রঙের কাঁথা বুনতে চায়।
ভাঙা ভাঙা পাথর দিয়ে
পবিত্র প্রতিমা গড়তে চায়।
উড়ো উড়ো তুলো দিয়ে
সুন্দর পুতুল বানাতে চায়।
সকলেই চায়
সবসময়ই চায়।
তবুও কোথা থেকে-
নকশী কাঁথা বুনতে গিয়ে
চোখে আঁধার নেমে আসে।
পাথর প্রতিমা গড়তে গিয়ে
বুকে কান্না ভেসে আসে।
স্বপ্নের পুতুল বানাতে গিয়ে
অতীতের কঙ্কাল জেগে উঠে।
ছেঁড়া কাপড়
আরও ছিঁড়ে ছিঁড়ে যায়।
চূর্ণ পাথর
ভেঙে আরও বিচূর্ণ হয়ে যায়।
সেই একই তো মানব!
স্বপ্ন গড়ার, একই সে আকাঙ্খা!
এমন কেন হয়?
ছেঁড়া স্বপ্ন কেন
আরও ছিঁড়ে ছিঁড়ে যায়?
সাতদিন হয়ে গেলো,
মালবিকা
তার প্রিয় গোলাপগুলোকে,
একবার- চেয়েও দেখে নি।
তিক্ত সুরে সে চীৎকার করে বলে-
'ওগুলো এখানে কেন?
আজেবাজে জিনিস সব এখানে কেন? '
বদলে গেছে মালবিকা।
ফুল আজ তাকে যন্ত্রণা দেয়!
সুগন্ধ আজ তাকে হাহাকার দেয়!
অথচ কদিন আগেও,
জ্যোৎস্নার সুগন্ধ নিয়ে,
দুটো কবিতা লিখেছিলো সে।
মাঝে মাঝে
মানুষ
নিজেকেই হারিয়ে ফেলে।
শিশু অন্ত প্রাণ যার
শিশুর কান্নাকে, একদিন সে ভ্রুক্ষেপও করে না।
ফুল অন্ত চোখ যার
ফুলের রূপকে, একদিন সে দেখেও দেখে না।
মানুষ-
আকাশ খুঁজে, আলো খুঁজে
স্বপ্ন খুঁজে, মনের মানুষ খুঁজে।
এতকিছু খুঁজতে গিয়ে
মানুষ একদিন
নিজেকেই হারিয়ে ফেলে।
কাকে খোঁজো হে মানুষ
কি খোঁজো তুমি?
তুমি কি জানো তোমার নিজের ঠিকানা?
ফুল খুঁজতে গিয়ে
তোমরা বৃক্ষ হারিয়ে ফেলো।
জীবিকা খুঁজতে গিয়ে
তোমরা জীবন হারিয়ে ফেলো।
প্রেয়সী খুঁজতে গিয়ে
তোমরা প্রেম হারিয়ে ফেলো।
স্বপ্ন খুঁজতে গিয়ে
তোমরা নিজেকে হারিয়ে ফেলো।
কাকে খোঁজো হে মানুষ
কি খোঁজো তুমি?
একবারও কি,
তোমার নিজেকে খুঁজেছো তুমি?
ওঃ তোমাদেরকে বলি নি-
কেন জানি মালবিকা
দশ পাতা বিষ কিনে রেখেছে!
© অরুণ মাজী
Painting: Xie Chuyu
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem