১. রোজ আধঘন্টা দৌড় বা সাঁতার চর্চা করুন ।
প্রথমে দ্রুত হাঁটা দিয়ে শুরু করুন, পরে অভ্যাস হয়ে গেলে দৌড়তে শুরু করুন। দৌড়ানোর চেয়ে অবশ্য সাঁতার ভালো। কারন- দৌড়ানোতে জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাঁতার সম্ভব না হলে, ELLIPTICAL TRAINER- এ আধঘন্টা ট্রেনিং করুন। জীবনে জল পান করা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, এক্সারসাইজও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।
২. সকালের খাওয়ার সবচেয়ে বেশি হওয়া উচিৎ। কেন? কারন- সেই ক্যালরি পুড়ানোর জন্য গোটা একটা দিন পাও তুমি।
লাঞ্চ-এর পরিমান ব্রেকফাস্টের অর্দ্ধেক। কেন? কারন- ক্যালরি পুড়ানোর জন্য কেবল অর্দ্ধেক দিন পাও তুমি।
রাতের খাওয়ার ভীষণ নগণ্য পরিমান হওয়া উচিৎ। কেন? কারন- ক্যালরি পুড়ানোর কোন সময় পাও না তুমি।রাতে তুমি কেবল সবজি, চিকেন/মাছ, ছোট্ট একটা ফল খাও।
৩. যত বেশি ফাইবার খাবে, তত বেশি ভালো। আপেল গাজর সবজি- ইত্যাদিতে অনেক ফাইবার আছে।
৪. একটু একটু করে যত বেশি বার খাবে তুমি, তোমার METABOLISM তত বেশি সক্রিয় থাকবে। তাতে তোমার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম। যত কম বার খাবে তুমি, তা তত বেশি বিপজ্জনক। কারন কম বার খেলে, METABOLISM ধীর গতির হয়। তখন যা খাবে তুমি, তাই শরীরে জমবে।
৫. সুগার আর মদ- সমান ক্ষতিকর। এক গ্লাস মদ শরীরের যা ক্ষতি করে, একটা রসগোল্লা ঠিক ততটাই ক্ষতি করে। সুগার জাতীয় খাদ্য, মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। সুগার ফ্যাটের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর।
৬. যত বেশি পারো জল পান করো। দিনে অন্তত ১০ গ্লাস (গ্লাসের সাইজ ২০০ মিলি ধরলে)জল পান করো। যেখানেই যাও না কেন, জলের বোতল কাছে রাখো। বেশি বার জল খেলে METABOLISM তোমার বেশি সক্রিয় থাকবে। এছাড়াও- METABOLISM দ্বারা যে সব বিষাক্ত দ্রব্য তোমার শরীরে তৈরী হয়, জল তা মূত্র মাধ্যমে শরীর থেকে দূর করে।
৭. তোমার পেচ্ছাপের রঙ বলে দেয়- তুমি যথেষ্ট পরিমান জল পান করছো কি না! পেচ্ছাপের রঙ যদি প্রায় জলের মতো স্বচ্ছ বা খুব হাল্কা হলুদ হয়, তাহলে তুমি ঠিক পরিমান জল পান করছো। আর পেচ্ছাপের রঙ যদি হলুদ বা ঘন হলুদ হয়- তাহলে তুমি দরকারের চেয়ে অনেক কম জল পান করছো।
৮. তুমি এতো পরিশ্রম করছো কেন? জীবনে একটু সুখী আর আরাম বোধ করবে তাই। জীবনে ভয়ানক পরিশ্রম করলে, অথচ নিজেকে তুমি অসুস্থ রোগপূর্ণ করে ফেললে। তুমি বুদ্ধিমান? অথবা উন্মাদ অরুণ মাজীর মতো মস্তিস্কহীন চামচিকে?
৯. আমি চাই- তোমরা আমার মতো গাঁড়োল মুখ্যু যেন না হও। তোমার দৈহিক আর মানসিক স্বাস্থ্য তোমার জীবনের একমাত্র মূলধন। পৃথিবীর কোন সম্পদের মূল্যে তা কখনো কিনতে পারবে না। তা কেনা যায় কেবল- তোমার চেতনার জাগরণের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যের প্রতি তোমার COMMITMENT-এর মাধ্যমে। তোমাদের প্রশ্ন থাকলে, আমার ফেসবুক পেজের- এই পোস্টের মন্তব্য অংশে লিখো। সময় পেলে অন্য কোন লেখার মাধ্যমে আমি তার জবাব দেবো।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem