হে বাঙালী, তুমি পরশুরাম হও। এক হাতে ঈশ্বর পূজা করো, অন্য হাতে ধারালো কুঠার ধরো।
কর্ণও পূজারী ছিলেন, আবার যোদ্ধাও ছিলেন।
তোমরা জানো, আমি সবসময় বলি- কেবল প্রেমিকরা বিপ্লবী হয়। আর বিপ্লবীরাই কেবল প্রেমিক হয়। প্রেম বা বিপ্লব ইঁদুর বাচ্চার কর্ম নয়। তেমনি ঈশ্বর সাধনাও ছুঁচো বাচ্চার কর্ম নয়। তেমনি ন্যায় বা সত্যের সাধনাও, ছারপোকা বাচ্চার কর্ম নয়।
জগতে যা কিছু ভালো, তা অর্জন করতে হলে, চাই- অদম্য সাহস, ত্যাগ আর নিষ্ঠা। চুরি বা প্রবঞ্চনা করে, তুমি হয়তো- কয়েক পা এগোতে পারবে, কিন্তু সূর্য ছুঁতে তুমি পারবে না।
তবে কে পারে সূর্য ছুঁতে? যার নিজের বুকের মধ্যে, সূর্য সমান আগুন আছে। তুমি সূর্যের চেয়ে কম উত্তাপের হয়ে সূর্যকে ছুঁলে- পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। কাকে ভয় পাবে? কি জন্য ভয় পাবে? কেন ভয় পাবে? মারো সব শালাকে ঝাঁটার বাড়ি।
আগে নিজ মা-কে পূজা করো। আগে নিজ বাবাকে প্রণাম করো। আগে নিজ ভাই বোনকে ভালোবাসো। তবে না তুমি প্রতিবেশী বা দেশকে ভালোবাসতে পারবে। আগে নিজ দেশকে ভালোবাসো, নিজ ধর্মকে শ্রদ্ধা করো। দেখবে- তখন এমনি এমনিই, অন্য দেশ বা ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা আসবে।
যারা নিজের বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে, শ্বশুর শ্বশুরীকে অত্যাচার করে; তারা শালা আজ, মানবদরদী সেজে ফূর্তি করছে। ঝাঁটা মারো কুকুরগুলোকে, ঝাঁটা মারো।
আমি চাই- তোমরা এক হাতে পুষ্প রাখো, অন্য হাতে অস্ত্র চালনা শেখো। মানুষ বড় বজ্জাত। প্রেমে যদি কাজ না হয়, তো ফোঁস করতে ভুলো না।
ঘর বন্ধ করে, চৌদ্দ বার উচ্চৈঃস্বরে বলো- 'আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম। আমি পরশুরাম।'
বুকে হাত দিয়ে এবার দেখো- একটু বেশি বীর হয়েছো কি না। জলে জঙ্গলে, রাস্তাঘাটে, মনে মনে বিড়বিড় করতে থাকো- 'আমি বীর, আমি পরশুরাম। '
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem