জীবন কেবল জীবনেরই মতো
স্বপ্নের মতো নয়।
যে নক্ষত্র ভেবেছিলো
সে জ্বলবে অনাদি অনন্তকাল;
নিয়তির এক আঁচড়ে
সেও ফুৎকারে নিভে যায়।
যে সংগীত ভেবেছিলো
সে হবে অমর অক্ষয়;
কালের এক লহমায়
সেও ধুয়ে মুছে যায়।
কিই বা অনন্ত? কিই বা শাশ্বত?
সবই তো ক্ষণিকের তরে।
যা উপরে উঠে, তাই খসে পড়ে
যা জন্মে, তাই মরে।
এ আঁধার, আঁধার নয়
আলো তার পিছে।
এ আলো, আলো নয়
আঁধার তার পিছে।
যে প্রদীপ ভেবেছিলো
সেই কেবল, গৃহস্থের আলো;
লজ্জায় ভেঙে পড়ে সে
যখন দেখে সে সূর্যের আলো।
অথচ, সূর্যেরও সূর্য আছে
সাগরেরও মহাসাগর আছে
মহতেরও মহৎ আছে
বিজয়ীরও বিজয়ী আছে।
কিসের অহঙ্কার হে মানুষ
কিসের অহঙ্কার তোমার?
যা কিছু তোমার হুঙ্কার আজ
সবই হবে আর্তনাদ তোমার!
যে দাঁতের হাসির তরে
গরবে গরবিনী তুমি;
বয়স কালে সেই দাঁত
লজ্জায় ঢাকবে তুমি।
সবই তো ক্ষণস্থায়ী ভঙ্গুর!
কিসের দুঃখ, কিসের আনন্দ তোমার?
দুঃখ আনন্দ- কেবল এ পিঠ, ও পিঠ
আত্মার প্রশান্তিই কেবল তোমার!
প্রশান্ত হও হে মানুষ
প্রশান্ত হও তুমি।
দুঃখ আনন্দ- যাবে আসবে
ধৈর্য্য ধরো তুমি।
© অরুণ মাজী
Painting: Charles Amable Lenoir
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem