চুরি ডাকাতি ধর্ষণ তো মানুষের গা সওয়া হয়ে গেছে! তাই না? এই ছোট্ট পর্যবেক্ষণ তাহলে কি প্রমাণ করে?
আমরা সত্য মিথ্যা, ভালো মন্দ ইত্যাদির বোধ হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের লোভ, স্বার্থ, কামনা- আমাদেরকে এক্কেবারে অন্ধ নপুংসক করে ফেলেছে। নামেই আমরা মানুষ! কিন্তু আমাদের অন্তর্বাসের নীচে, ইঁদুরবিচিও নেই। আমরা চুরির প্রতিবাদ করি না, ডাকাতির প্রতিবাদ করি না, ধর্ষণের প্রতিবাদ করি না।
রাজা বা তার তাঁবেদাররা, আমার থালাতে একটু মুতে দিলেই হলো! ব্যাস, তাহলে আমি- চুরিকে চুরি বলবো না, ধর্ষণকে ধর্ষণ বলবো না। বরং রাজার চুরিকে আমি রাস্তায় নেমে সমর্থন করবো। রাজার সাগরেদদের ধর্ষণকে আমি তালি বাজিয়ে সমর্থন করবো।
দরিদ্র্য মূর্খরা, পেটের জ্বালায় রাজার পাপ মেনে নেয়। কিন্তু শিক্ষিত ক্ষমতাশালীরা? তারা রাজমুত্র আর রাজবিষ্ঠা খাওয়ার জন্য, রাজার পাপকে সমর্থন করে। কেবল সমর্থনই করে না; তারা রাজাকে, পাপ করতে আরও উৎসাহিত করে!
তোমরা জানো, আমি বারবার বলি- আমাদের দেশের সবচেয়ে ঘৃণ্য ইতর জাত হলো "ভদ্রলোক"। এরা কৃমি বা জোঁকের চেয়েও ভয়ঙ্কর! কৃমি বা জোঁক যেমন মানুষের রক্ত শোষণ করে মানুষকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলে; ঠিক তেমনি আমাদের দেশের "ভদ্রলোক" দেশ আর দেশের মানুষের রক্ত শোষণ করে দেশকে ছিবড়ে বানিয়ে দিচ্ছে।
দেশের মানুষের টাকায় যে সব স্কুল কলেজ গড়া হয়েছে; এই ভদ্রলোকেরা সেই সব স্কুল থেকে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসা, আইন ইত্যাদি পড়ে। তারপর এরা কি করে? আরও বেশি ধনী হওয়ার জন্য, এরা চুরি করে, ডাকাতি করে, আর রাজমুত্র-রাজবিষ্ঠা খেয়ে তরতর করে সাফল্যের সিঁড়ি চড়ে।
কিন্তু দেশ বা দেশের মানুষ এদের থেকে কি পায়? কিচ্ছু না। বরং দেশকে ক্রমাগত এরা, আরও বেশি সর্ব্বশান্ত করতে থাকে। ভদ্রলোকের মতো পরজীবী কৃমি, পৃথিবীতে আর কিছু নেই।
ভদ্রলোক নাম শুনলেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার গা বমি বমি করে। কাউকে খিস্তি করতে হলে, তাকে "জানোয়ার" বলো কেন? কাউকে খিস্তি করতে "ভদ্রলোক" শব্দটা ব্যবহার করতে পারো না?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem