এ পৃথিবী আজ
মস্ত এক বরফের চাঙড়।
মানুষের হৃৎপিণ্ড জমে
সিয়াচেন উপত্যকার বিখ্যাত হিমবাহ।
বোম আর ক্ষেপণাস্ত্রের উলুধ্বনি সহ-
সহস্র শিশু রক্তের পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে
আজ মানব হৃৎপিণ্ডের বরফ গলাতে হয়।
চারিদিকে শীতলতা- কনকনে ঠান্ডা বইছে আজ।
দশ বছরের শিশু শ্রমিককে
পিটিয়ে খুন হতে দেখলেও
কারও হৃদয়ের বরফ গলে না আজ।
ধর্ষিতার আর্তনাদ
তার গর্ভধারিণীর কানে পৌঁছানোর পরেই
কেমন যেন জমে বরফ হয়ে যায়।
আত্মীয় বা প্রতিবেশী তা শুনতে কখনো পায় না।
হাড় হিম করা এতো শীতলতা মাঝে
তোমার আগুন বুকের
একটু উষ্ণতা খুঁজছি মালবিকা।
আমারও হৃৎপিন্ডে
বিন্দু বিন্দু তুষার জমছে আজ।
ভয় হয়- হয়তো আমিও একদিন
জীবাশ্মের মতো জমে বরফ হয়ে যাবো।
কে জানে! আজকাল কেউই হয়তো
প্রেমের উষ্ণতা আর পায় না।
রাতে, নীল আলোর চাঁদ ফুটলে
সকলেই ছিঁড়ে খায় তাল তাল মাংস।
শীৎকারের আতিশয্যে তারা ভেঙে ফেলে
খাট জানালা দরজা নীল বাতি।
তবুও প্রেমের উষ্ণতা তারা পায় না।
প্রেমের উষ্ণতা কেউ পায় না বলেই
এ পৃথিবী আজ মস্ত এক বরফের চাঙড়।
© অরুণ মাজী
Painting: Andrew Atroshenko
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem