জানো? ইচ্ছে হয় চলে আসি।
আজই। এখনই।
আসবো?
বলো না, আসবো?
নাহঃ আজ বরং থাক।
ভালো আছো?
ভালো আছো তুমি?
কতটা?
অনেকটা?
ভালো থেকো।
সুখেই থেকো।
আমি?
বয়ে যাচ্ছে।
যেমন বয়ে যায় শুকিয়ে যাওয়া নদী।
আমার কথা বরং থাক
তোমার কথা বলো।
জানো? হাসলে
গালে টোল পড়ে তোমার।
চোখে ফুটে, ফুটফুটে জ্যোৎস্না
ঠোঁটে, রক্ত জবা।
ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে তোমায়।
ভীষণ।
কতদিন দেখিনি তোমায়।
কতদিন।
এই, এখন কি করছো তুমি?
আকাশ দেখছো? না মেঘ?
আচ্ছা, কখনো
মেঘের বাড়ির বিয়ে দেখেছো তুমি?
জানো, আমি দেখেছি।
ওদেরও সামিয়ানা টাঙানো হয়
সানাই বাজে
হৈচৈ কোলাহল হয়।
আর কনের আঁচল ধরে
বর এগিয়ে যায়।
জানো, তোমার আঁচলটা
আমিও ধরবো একদিন।
কখনো তো ধরি নি সেভাবে।
লুকিয়ে দেখবো
তখন কেমন লাগে তোমাকে।
যাহঃ কথায় কথায়
ভুলেই গেছি!
রজনীগন্ধার বাগান গড়েছি আমি
বাড়ির পিছন দিকটায়।
নাম দিয়েছি
মালবিকা।
ভাবছো, বাগানের নাম মালবিকা?
কেন নয়?
তোমাকে তো আমার
বাগানই মনে হয়।
হ্যাঁ, বাগান।
সৌন্দর্য দেখো
সুগন্ধ নাও
কিন্তু ছুঁতে তুমি পারবে না।
ছুঁলে
সৌন্দর্যের মৃত্যু হয়।
এই তো
বাগানে আমার গাছ ভরা ফুল।
কিন্তু ছুঁতে পারি কি?
পারি না।
পারলেও, প্রবৃত্তি হয় না।
প্রত্যেকটা ফুলের মধ্যে
তোমার হাসি দেখতে পাই।
ভয় হয়
ছুঁলে, তোমার হাসিতে যদি
ময়লা লেগে যায়।
জানো, আমার এই রোগ!
তোমার কথা ভাবলে
থামতে আর পারি না।
তাছাড়া
কেনই বা থামবো?
হাত দিয়ে হয়তো
কখনো ছুঁতে পারি নি তোমায়।
কিন্তু এই হৃদয় দিয়ে?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem