এমন কেন হয়?
দুপুর পেরিয়ে বিকেল, বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যে
তবুও কেবল তুমি তুমি আর তুমি।
চোখের সামনে সবুজ এক পাহাড় হয়ে
অবাধ্য বালিকার মতো
গোঁ ধরে দাঁড়িয়ে আছো তুমি।
এতো উঁচু তোমার শিখর
আকাশ দেখা যায় না।
এতো দুর্ভেদ্য তোমার অস্তিত্ব
পৃথিবী দেখা যায় না।
এতো গাঢ় তোমার আঁধার
নিজেকে দেখা যায় না।
অথচ এমন তো হওয়ার কথা নয়।
আমার
নতুন চাকরী। নতুন উদ্যম।
নতুন করে জীবন গড়ার ইচ্ছে।
অথচ কি আশ্চর্য্য বলো?
আমার আঙুলে
তোমার অদৃশ্য আঙুল রেখে
কাছে কাছে বসে আছো তুমি।
এ কার কাঁকন ধ্বনি? কার চুলের সুবাস?
কার ফিসফাস? কার উষ্ণ নিঃশ্বাস?
কার নরম বুকে হাত আমার?
প্লিজ, একটু অন্তত কাজ করতে দাও!
তুমি কি চাও?
নতুন চাকরীটা হারাই?
চাকরী হারালে তোমাকে খাওয়াবো কি করে?
ধুস।
এ কিসব আবোল তাবোল বকছি?
তুমি তো চেনোই না আমাকে।
তোমাকেই কেবল
পরপর তিনদিন
১ নং বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।
একটু দেখা কি
এতো স্বপ্ন আঁকতে পারে?
এতো কথা লিখতে পারে?
এতো সুখ গড়তে পারে?
এতো ধৈর্য্য সংযম সাফল্যের হাতছানি
সব কিছু ছিঁড়ে কুটি কুটি করতে পারে?
আচ্ছা, তোমার নামটা যেন কি?
কি সাংঘাতিক সংকুচিত আমি!
তাই না?
তোমার নামটা পর্য্যন্ত
এখনো জিজ্ঞেস করে উঠতে পারি নি।
তবুও এই গুটিকয় কথা
তোমাকে। শুধু তোমাকে
হে অপরিচিতা।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Baa ray batash bujhi tomar kane kane naamta boleni Naam Anuragini
you all are kind. regards