হে মালবিকা,
কোথায়, কোথায় তুমি?
অমল হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস কি
কখনো শুনতে পাও তুমি?
ধৈর্য্যও আজ কাঁদে মালবিকা
ধৈর্য্যও আজ কাঁদে।
আপন পৌরুষের অভিমান
হাঁটু গেড়ে, করজোড়ে,
তোমার ক্ষমা ভিক্ষা করে।
বলো, জগতে কিছু কি আছে
যা পারে
আমার আত্মার আর্তনাদ
তোমার কাছে পৌঁছে দিতে?
জগতে কেউ কি আছে,
যে পারে
আমার অতৃপ্ত আত্মার সংগীত
তোমার বুকে গাইতে?
হায় সখি হায়, সময় বয়ে যায়!
এ যৌবন থেকে, জ্যোতি নিভে যায়!
এ জীবন থেকে, সুর খসে যায়!
এ স্বপ্ন থেকে, সুগন্ধ ঝরে যায়!
নারী বক্ষের স্পর্শ বিনা
বীর পুরুষ, সেও মৃয়মান মূষিক হয়ে যায়।
মালবিকা বক্ষের মধু বিনা
অমলিন অমল, সেও মলিন হয়ে যায়!
মালবিকা ওষ্ঠের দংশন বিনা
আগ্নেয় যৌবন, সেও নিঃশব্দে ঝরে যায়!
হে মালবিকা
কোথায়, কোথায় তুমি?
স্বপ্নের সাগরে ভাসতে ভাসতে
তরী আজ দুঃখ ঘাটের 'পরে।
স্মৃতির পথে হাঁটতে হাঁটতে
অমল আজ নরক অন্ধকারে।
অথচ কথা দিয়েছিলে তুমি-
"আমরা ঝরে যাবো না অমল
অকালে কখনো ঝরে যাবো না।"
তবে বলো, কেন ঝরে যায়
স্বপ্ন পাপড়ি, সুখের স্মৃতি হতে?
তবে কেন খসে যায়
রামধনু রঙ, কল্পনা আকাশ হতে?
তবে কেন মরে যায়
অতৃপ্ত যৌবন, অমল জীবন হতে?
যদি না-ই বা এসো কাছে আমার
পারো না কি একটু হাসতে,
দূরে, কোন মেঘের ছায়া হতে?
যদি নাই বা পারো ভালোবাসতে আমায়
পারো না কি ঘৃণা করতে
আনমনে, অকস্মাতে?
হে সখি, হে মালবিকা
কোথায়, কোথায় তুমি?
কতদূরে, কোন সাগরের পারে
কোন আঁচলে, মেঘের আড়ালে
লুকিয়ে আছো তুমি?
© অরুণ মাজী
Painting: Jean- François Portaels
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem