মানুষ হবার গুন সমূহ কী?
জামালুল কুলুব নামক একটি বিখ্যাত কিতাব আছে।সেই কিতাবটি মোঘল আমলে লেখা। সেই কিতাবে একটি চমতকার ঘটনা উল্লেখ করেছেন লেখক।
"দিল্লী শাহি জামে মসজিদের ইমাম প্রতিদিন আসরের নামাজ পড়ে, এক পান দোকানে গিয়ে পান খেতেন।একদিন দোকানী দোয়া চাইলে হুজুর দোয়া করলেন 'অাল্লাহ ইস কো ইনসান বানা দো।
'অাল্লাহ! লোকটাকে তুমি মানুষ বানিয়ে দাও, ,
কোন কৃষক যদি তার ফসলের জন্য দোয়া চায়, আর দোয়াকারী যদি বলে 'অাল্লাহ তাকে মানুষ বানাও, , তবে ব্যাপারটা কেমন হবে?
কোন দোকানদার যদি দোয়া চায়, আর হুজুর যদি দোকানীর ব্যবসা কিংবা তার পরিবারের জন্য দোয়া না করে, বরং তাকে মানুষ বানানোর দোয়া করে, তবে তো ব্যাপারটা হাস্যকর।
প্রতিদিন দোকানী দোয়া চায়, আর হুজুর পান চিবুতে চিবুতে, মুচকি হেসে, অদ্ভুত ঢংয়ে মানুষ বানাবার দোয়া করেই যান!
আদবের সহিত একদিন দোকানী জানতে চাইলো এই দোয়ার রহস্য কী?
হুজুর, উনার মাথার পাগড়ী খুলে দোকানীর মাথায় পড়িয়ে বললেন 'চোখ বন্ধ করে বলো তো কী দেখতে পাও!
দোকানি চোখ বন্ধ করে চিতকার দিয়ে উঠে।কসম সেই সত্ত্বার, যার হাতে আমার প্রাণ! আমি এখন সমগ্র দুনিয়া দেখতে পাচ্ছি।পৃথিবী ভর্তি পশু আর পশু।বহু দূরে দূরে একজন দুজন মানুষ।কারো অর্ধেক শরীর মানুষের, বাকিটা পশু।কারো একটুখানী পশুর মত, বাকিটা মানুষের মত।
হুজুর! এখন বুঝতে পারলাম, এই অগণিত পশুর মাঝে আমিও একটা পশু মাত্র।"
প্রতিটা মানুষের দুটো রুপ।একটি বাহ্যিক আরেকটি অাভ্যন্তরিক।বাহ্যিক তথা প্রকাশ্য রুপটি তো সবারই মানুষ।কিন্ত ভেতরের রুপটি মানুষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া অসাধ্য।মানুষ মাটি হতে সৃষ্ট।মাটির ধর্ম হলো সহনশীলতা। যেদিন মাটির সেই গুণটি, সহনশীলতা, ধৈর্য অর্জন করা যায়, সেদিন আপনিই মানুষ হবার বাকী গুণ গুলো চলে আসে।
(সংগৃহিত)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem