এমনিতে পুরুষরা বর্ণহীন বাতাস।
কেবল রমণী বুকের উত্তাপেই
জাগ্রত হয় সদা নিদ্রিত পুরুষ।
নারীর মায়া স্পর্শে
পৌরুষত্বের কাল বৈশাখী ঝড় উঠলেই
পুরুষ
নারীর আঁচল উড়িয়ে দিয়ে
নারীকে নগ্ন বিবস্ত্র করে
ছিন্ন ভিন্ন করে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শ্বাস।
ধ্বংস-যন্ত্রণা
তোমার কি হয় না হে নারী?
তবে কেন জ্বালাও দাবাগ্নি শুখনো পুরুষ অরণ্যে?
জানো না
পুরুষ বুকে নিদ্রারত সুপ্ত আগ্নেয়গিরি?
তোমার চোখের প্রদীপ দিয়ে
আগুন তাতে দিলেই
শুরু হবে অন্তহীন দাবাগ্নির
ভীষণ ধ্বংসলীলা।
যন্ত্রণায় আর্তনাদ করতে করতে
পুড়ে ছাই হতে
তোমারও ভালো লাগে, তাই না?
কেনই বা ভালো লাগবে না হে নারী?
বিশাল সমুদ্র
সেও কামনায় আবিষ্ট হয়ে আকাশে পৌঁছে
প্রেমিক আকাশ বুকে
কামনার শত বজ্রনাদ হানে।
তুমি তো মৃন্ময়ী মৃত্তিকার মরণশীল নারী!
মৃত্যুর আগে তুমি
পুরুষ বুকে কামনার বজ্রনাদ হানবে না?
কামনাতে কি কেবল
সাগর আকাশের অধিকার?
কেবল দেব দেবী
কিন্নর অপ্সরার অধিকার?
মর্ত্যের মানুষ মরণশীল বলে
অমৃত ভোগ কি সে করবে না?
বেশ করো পুরুষ বুকে
দাবাগ্নির লেলিহান শিখা জ্বালাও তুমি।
যতদিন বাঁচবে হে নারী
পুরুষকে সদা জাগ্রত পুরুষ রাখো তুমি।
© অরুণ মাজী
Painting: John William Godward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem