ছাই পাঁশ আমি অনেক লিখেছি।
কিন্তু দেখো,
একদিন না একদিন
সুন্দর একটা কবিতা লিখবো।
কিন্তু কাকে লিখবো
কি লিখবো?
কথা আসবে কোত্থেকে?
ব্যথা আসবে কোত্থেকে?
হাসি আসবে কোত্থেকে?
আমার কবিতা যদি
তোমার
ঊরুর মতো মসৃণ না হয়
নাভির মতো চড়াই উৎরাই না হয়
নিতম্বের মতো তরঙ্গময় না হয়-
সে কবিতা
আমি কখনো লিখবো না।
যে কবিতার মধ্যে
তোমার
লাল ঠোঁটের আদ্রতা থাকবে না
রুপালি দাঁতের হাসি থাকবে না
টোল ফেলা গালের রহস্য থাকবে না-
সে কবিতা
আমি কখনো লিখবো না।
ছাই পাঁশ আমি অনেক লিখেছি।
কিন্তু দেখো,
একদিন না একদিন
সুন্দর একটা কবিতা লিখবো।
কিন্তু কি ভাবে লিখবো?
তোমার লাল ঠোঁট যদি না ছুঁলাম
কবিতায় আদ্রতা আসবে কোত্থকে?
তোমার উঁচু বুকে স্বপ্ন যদি না আঁকলাম
কবিতায় হাসি আসবে কোত্থকে?
নিতম্বে তোমার
একবারও যদি সাঁতার না কাটলাম
কবিতায় তরঙ্গ আসবে কোত্থকে?
ছাই পাঁশ আমি অনেক লিখেছি।
কিন্তু দেখো,
একদিন না একদিন
সুন্দর একটা কবিতা লিখবো।
কিন্তু কাকে লিখবো?
তোমাকে?
সত্যি বলছো- 'তোমাকে'?
আসবে তবে চূর্ণী নদীর ঘাটে?
তোমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে, মেখে মেখে
আজই একটা কবিতা লিখবো।
তোমার ঠোঁটের মতো পিচ্ছিল
বুকের মতো নরম
ঊরুর মতো মসৃন
কোমরের মতো কুহেলিকাময়
উচ্ছৃঙ্খল একটা কবিতা লিখবো।
সখী গো,
নারী ঠোঁটেই যদি কবিতা না আঁকলাম
তবে কিসের কবিত্ব আমার?
© অরুণ মাজী
Painting: John William Godward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem