সুইডেনের সবচেয়ে বহুল প্রচারিত পত্রিকা মেট্রো'র কলামে ছবির এই সাংবাদিক পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন সম্প্রতি সিরিয়ায় আমেরিকা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বোমা হামলা নিয়ে। অত্যন্ত সাহসী এই লেখাটি। কেননা, বোমা হামলার পর পশ্চিমা গণমাধ্যম এবং রাজনীতিদিন কেউই প্রশ্ন তোলেনি কেমিক্যাল অস্ত্র ব্যবহারের মিথ্যা অভিযোগে সিরিয়ায় যে হামলা করা হলো, আসলে এই তিন চক্রের দাবী কতোটুকু সত্য। তাদের দাবী ছিল, আসাদ সরকার তার নিজের দেশের মানুষের উপর কেমিক্যাল গ্যাস দিয়ে হামলা করেছে।
তিনি খুব আক্ষেপ করেই উল্লেখ করেছেন, এমনিভাবে ২০০৩ এ ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধেও গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে এমন মিথ্যা অজুহাতে সেখানে এই একই মিত্র, অর্থাৎ আমেরিকা ও ব্রিটেন হামলা করে দেশটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয় এবং কোটি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। অথচ সেখানে কোন পারমাণবিক, কিংবা গণবিধ্বংসী অস্ত্র তো পাওয়াই যায় নি, সাদ্দাম হোসেন পশ্চিমাদের জন্যেও হুমকি ছিলেন না। বরং সে হামলার কারণে জন্ম নিয়েছে আইএস সহ অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ।
তখন হামলা করা হয়েছিল ইরাকে আর এখন করা হচ্ছে সিরিয়ায়। পার্থক্য শুধু এটুকুই। কিন্তু অজুহাত কিন্ত একই। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমেরিকা বলেছে সেখানে কেমিক্যাল গ্যাস দিয়ে আসাদ সরকার তার নিজ দেশের নাগরিকদের উপর হামলা করেছে, আর সবাই তা সত্য বলে ধরে নিয়েছে। অথচ আমরা কেউই জানি না, এ হামলার পেছনে কে দায়ী। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, কেমিক্যাল হামলার জন্য এই তিন শক্তি নিজেরাই দায়ী হতে পারে। কিন্তু তাদের কথা উল্লেখ করেন নি। আর এই তিন শয়তানি শক্তির হামওলা আসলেই কি সামরিক স্থাপনায় হয়েছে নাকি নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা করা হয়েছে সেটাও কেউ পরিষ্কার জানে না।
ধন্যবাদ আনিকাকে এমন সুন্দর ও বস্তুনিষ্ঠ একটি লেখা উপহার দেবার জন্য। যখন সবাই চোখ বন্ধ করে আছে এবং মিথ্যাকে সত্য বলে মেনে নিচ্ছে।
(help taken from dr. abdul baten miaji))
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem