মনে পড়ে মালবিকা,
সেদিনের কথা?
দিনটা ছিলো ছোট্ট তখন
আকাশে ছিলো গোধূলি তখন!
ঘাটে বসে
ক্ষয়িষ্ণু গোধূলির দিকে তাকিয়ে তুমি বললে-
"সুন্দর কেন ঝরে যায় অমল
সুন্দর কেন অকালে ঝরে যায়? "
চেয়ে দেখি-
মুখে তোমার গোধূলির সোনালী আভা
অথচ, চোখে অশ্রু জল!
আমি বললাম-
ঝরে আর কে যায় মালবিকা?
নতুন করে ফুটবে বলে
হয়তো তারা লুকিয়ে যায়!
আমাকে সজোরে জড়িয়ে ধরে
উন্মাদের মতো
আমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে তুমি বললে-
"আমরা ঝরে যেতে চাই না অমল
আমরা কক্ষনো ঝরে যেতে চাই না।"
জানো?
ছোট্ট দুটো কুঁড়ির স্বপ্নের,
ভয়ানক সেই স্পর্ধা দেখে
ঈশ্বর হয়তো হেসেছিলেন!
জানি না
তুমি ঝরে যেতে চাও কি না!
আমি কিন্তু
বারবার ঝরে যেতে চাই!
বিশ বছর হলো
আমরা দূরে দূরে।
বলো-
কি হবে বেঁচে থেকে?
তুমিই যদি নেই কাছে
কি হবে বেঁচে থেকে?
আজ আমি নতুনের স্বপ্ন দেখি।
ঝরে গিয়ে
আবার যদি
নতুন করে পাই তোমাকে!
আজ আমি
তাই নতুনের স্বপ্ন দেখি।
দুঃখ যদি ভাঙতে পারে
সুখের স্পর্ধা
মৃত্যু তাহলে ভাঙতে পারে
যন্ত্রণার স্পর্ধা।
বিরহ যদি ভাঙতে পারে
মিলনের স্পর্ধা
পুণর্মিলন ভাঙতে পারে
বিরহের স্পর্ধা।
ঝরে গিয়ে
নতুন করে ফুটতে চাই আমি।
হারিয়ে গিয়ে
নতুন করে ফিরতে চাই আমি।
আবার আমরা
চূর্ণীর স্রোতে পা ডুবিয়ে,
হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে
পূর্ণিমায় চাঁদ দেখতে চাই
আকাশে নক্ষত্র গুনতে চাই।
আমি বিশ্বাস করি না
মৃত্যুর অর্থ বিলীন হয়ে যাওয়া!
আমি বিশ্বাস করি
মৃত্যু
নতুন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ!
বলতে পারো মালবিকা
মানুষ
ঘানি টানা জীবনকে ঘৃণা করে না;
অথচ কেন সে
নিরাময় মৃত্যুকে ঘৃণা করে?
© অরুণ মাজী
Painting: Jean- François Portaels
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
তোমার লেখা ভা রি সুন্দর আমি পরে ছি