রিসাইকেল বিন
খেলতে জানলে জুয়াটাও একটা ফ্যানটাস্টিক
খেলা বৈকি!
যেমন দেখো হঠাৎ ব্যাপারী সেজেছে দিন, লেজার শো'র মত এদিক ওদিক থেকে ছিটকে আসছে আনকোরা অনাঘ্রাতা গন্ধেরা। সকলেই নাকের ফুটোকে পেট করে করে অপেক্ষা করছে।
মহুয়ার গন্ধে বাতাস পোয়াতি হয়েছে আর বাতাসের অত্যাচারে আঁচলদের কন্ঠাগত প্রাণ।
এমনি চললে কবে হয়তো আলোও ভূলে যাবে একমাত্র ঘাম-গন্ধই সবচেয়ে ফ্লেক্সিবল ইউনিট।
এই দেয়ালার কোন অর্থ হয়না। এই নিষেধের কোন প্রাঞ্জল আপ টু ডেট কিনারাও নেই। শুধুই ঝাঁ চকচকে যাপনের মধ্যে থেকে বিজয়া-দশমীর ঘাম-তেল বাস্পাকারে উড়ে গেলে ধর্ষিতাও আচমকা কুমারী পুজার মা হয়ে যায়।
অযথার বেপারীদের অতশত ভাবলেও চলেনা। তাই বলে শেকড় চিনতে ভুল করলে চলবে কি করে?
উপমার সব চেয়ে গোপন কথাটি পাথর জানে।রাঁদেভ্যু জানে...ম্যাট্রিক্স জানে, সেল ডিভিশনের পরের প্রত্যেকটি ছোটবড় খেয়ালী স্টেশনের আপাতসরল খুচরো পাপের পাশে গড়ে ওঠা ব্যাঙের ছাতার গড়িয়ে যাওয়া স্বমেহনী রাত্রি জানে, কুকুরের সাথে ভাগ করে নেওয়া ভাগাড়ের নিসর্গচিত্র জানে।
সবাই জানে অন্তরের অন্তস্থলে লুকিয়ে রাখা ময়ুরপালকের গল্প…
যেমন করে প্রেমিকের রক্তে কবরী সাজিয়ে নিত রাজপুত রমণীরা,
কেমন করে? ধ্যেত! তার আমি কি জানি!
আমি শুধু ঘুরেঘুরে আদর সঞ্চয় করি। ভাঙা, পুরোনো, রদ্দি বলে যেটুকু রুটিনেরা ফেলে দেয় - তারপর ডবল কিংবা তিন ডবল দামে বেচে দিই।
ভাল মাল পেলে অবশ্য গুঁড়ো করে ট্র্যাডিশন্যাল ঘায়ের পেলব মলম বানিয়ে রেখে দিই। কখনো কষ্টকে ধুপকাঠি করি, মিথ্যেকে ট্যালকম পাওডার, বঞ্চনাকে লবন...
স্যালাইন নয়, বিড়ির আগুনের জন্যে যখন পঁচিশ মিনিট হেঁটে যেতেযেতে গা থেকে টপটপ করে বিয়ারগন্ধী প্রায়শ্চিত্ত ঝরে পড়ে, মাঝরাতের টাল যখন টাইলস বসানো ইউরিন্যালের আনাচেকানাচে থেকে রাম আর পেচ্ছাপের মিশ্র গন্ধ এসে হ্যাং-ওভারের দেয়াল টপকেও ভদ্রতার পিঠে সপাং সপাং করে পাতলা কঞ্চির আদর লেপে দেয়, তখন মনে হয় এখনো মরিনি। অন্ততঃ পাড়ার বারোয়ারী নেড়িটার মতোও বেঁচে আছি, শরীরের খদ্দের নেই বলে পানের দোকান খুলে বসে থাকা বুলবুলি বেগমের মতোও বেঁচে আছি।
আলটিমেটলি এটাই তো চাওয়া নাকি?
আর এই আপ্তবাক্য তো সবাই জানো বাওয়া, এক কথার ব্যবসা চলেনা! ! !
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
very interesting write....love and enjoyed a lot, dear writer.