সাহাবা আজমাইন্দের মিলাদ কিয়াম/Sahaba Azmainder Milad Qiam Poem by Rhymer Rhymer

সাহাবা আজমাইন্দের মিলাদ কিয়াম/Sahaba Azmainder Milad Qiam

সাহাবা যুগে মিলাদুন্নবী মাহফিলের প্রমান:
হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের উপস্থিতিতে সাহাবায়ে কেরাম মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান করেছেন। নিম্নে কয়েকতি প্রমান:

১। হযরত দারদা(রা)হতে বর্নিত আছে, তিনি বলেন আমি নবী করিম(দঃ) এর সাথে মদিনার আবু আমের আনসারির গৃহে গমন করে দেখি তিনি তাঁর সন্তানাদি এবং আত্বয়-স্বজনকে নবী করিম(দঃ) এর জন্ম বৃত্তান্ত শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন আজই সেদিন।এতদ্দশর্নে নবী করিম(দঃ) -এরশাদ করলেন:
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা তোমার উপর রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন এবং আল্লাহর ফেরেস্তাগনও তোমাদের সকলের জন্য মাগফিরাত কামনা করছেন।
(দোররে মুনাজ্জাম আব্দুল হখ এলাহাবাদি)

২।ইবনে আব্বাস(রা) থেকে বর্নিত আছে একদিন তিনি(ইবনে আব্বাস) কিছু লোক নিয়ে নিজগৃহে রাসুলে কারিম(দঃ) এর জন্ম বৃতান্ত আলোচনা করে আনন্দ উৎসব করছিলেন এবং তাঁর প্রসংশাবলী আলোচনা করেদুরুদ ও সালাম পেশ করেছিলেন।এমন সময় নবী করিম (দঃ)তথায় উপস্থিত হয়ে এ আবস্থা দেখে বললেন:
তোমাদের সকলের জণ্য আমার সাফায়াত অবধারিত হয়ে গেল"(ইবনে দাহইয়ার আত-তানভির৬০৪ হিজরি) ।সুতড়াং প্রমানীত হলো যে নবী পাকের মিলাদ শরিফ পাঠে রাসুলে পাকের সাফায়াত নসীব হবে।

৩। হযরত হাসসান বিন সাবের(রা) মিম্বারে দাঁড়িয়ে কবিতার মাধ্যমে মিলাদুন্নবী(দঃ) পাঠ করেছেন দির্ঘ কবিতার একাংশ নিম্ন উদ্ধৃত করা হলো; অর্থাৎ ইয়া রাসুল্লাহ! আপনি সর্ব দোষত্রুটি হতে মুক্ত হয়ে জন্মজন্ম গ্রহন করেছেন।আপনার এই বর্তমান সুরত মনে হয় আপনার ইচ্ছা অনুযাযী সৃষ্টি হয়েছে।আল্লাহ তার প্রিয় নবীর নামে আযানে নিজের নামের সাথে সংযুক্ত করেছেন।এর প্রমান যখন মুয়াজ্জিন পান্জেগানা নামাজের জন্য "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ "বলে আজান দেয়।আল্লাহ তায়ালা আপন নামের অংশ দিয়ে নবীজীর নাম রেখেছেন-তাঁকে অধিক মর্যাদাশীল করার লক্ষ্যে।এর প্রমান হচ্ছে আরসের অধিপতির নাম হচ্ছে " মাহমুদ" এবং ইনির নাম হলো"মুহাম্মদ "
(দিওয়ানে হাসসান)।


(বিঃ দ্রঃ) আরবীতে মাহমুদ লিখতে পাঁচ হরফ যেমন মিম-হা-মিম -ওয়াও -দাল এবং মুহাম্মদ লিখতে যেমন মিম-হা-মিম-দাল ব্যবহৃত হয়।ব্যবধান মাত্র এক হরফের বিষয়টি খুবই ইঙ্গীতপুর্ন।মাত্র ঔাও হরফের ব্যবধান।উক্তমিলাদী কাসিদায় হযরত হাসসানের কয়েকটি আকিদা প্রমানীত হয়েছে।
যেমন

১। নবী করিম(দঃ) এর উপস্থিতিতে এই প্রশংসাসুচক কাসিদা পাঠ।মিম্বারে দাঁড়িয়ে(কিয়াম) অবস্থায় হুজুরের জন্ম বৃত্তান্ত ও গুনাবলী বর্ননা করা।৩।নবী করীম(দঃ) সর্বত্রটি হতে মুক্ত।৪।হুজুর(দঃ) -এর বর্তমান সুরত নবীজীর ইচ্ছানুযায়ী সৃষ্টি ৫।আজানের মত গুরুত্ব পুর্ন ইবাদতে আল্লাহর নামের পাশে নবীজীর নামে আল্লাহ কর্তৃক সংযোজন।৬।নবীজীর মুহাম্মদ নামের উৎস হচ্ছে আল্লাহর সিফাতি নাম-মাহমুদ ।
হযরত হাসসান বিন সাবের(রা) এর মিলাদ পাঠ শুনে নবী করিম(দঃ) বলতেন
"আল্লাহুম্মা আইদ্দাহু বে রূহিল কুদ্দুস "অর্থাৎ"হে আল্লাহ! তুমি তাকে জিবরাইল মারফত সাহায্য করো "

তাফছিরে খাজাইনুল ইরফান (আঃ)উল্লেখ আছে যারা নবী করিম(দঃ) -এর প্রশংসাগীতি করে, তাদের পিছনে জিবরাইল (আঃ)-এর গায়েবি মদদ থাকে(সুরা মূজাদালাহ)
মিলাদ ও কেয়ামের জন্য এটি একটী শক্ত ও উৎকৃষ্ট দলিল ।

Monday, April 2, 2018
Topic(s) of this poem: remembrance
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Rhymer Rhymer

Rhymer Rhymer

DHAKA Tangail, BANGLADESH
Close
Error Success