1
একটু এগিয়ে দেখো!
তুমি একা নও
অনেকেই আছে ঠিক তোমার মত
অনেকেই আছে ঠিক তোমার মত কষ্টে
অনেকেই আছে ঠিক তোমার মত মনের
তুমি একা নও
তোমাকে সংগ দিবে
একটু এগিয়ে দেখো
পাবে তারে!
2
কাকা কাক কেন কালো হয়ঃ
সাদা নাই তাই!
আর একটা জিগাইঃ
রক্ত কেন লাল?
আরে সবতেই যে এক আদম(আঃ) সন্তান
ঐ একতার টান!
কালা ক্যান আবার ধলা ক্যান?
আরে শোন ভিতরটা এক যেন!
কিছু লোক ভালো কিছু লোক খারাপ ক্যান
এই ছেরা বন্ধ কর প্যান প্যান
এযে আলো আঁধারের খেলা
খেলবে যে ভালা
পড়ে সেই মালা
এবার তুই মুখে ঝুলা তালা!
3
বাড়ী
“গ্রাম ছাড়া অই রাঙ্গা মাটির পথ
আমার মন ভোলায়রে”
বাড়ী মানেই গ্রাম
কি মিষ্টি নাম!
মা আছে ওখানে
শান্তি আছে সেখানে!
ছায়া সুনিবিড়
শান্তির নীড়!
ছবির মতন
করানো যতন!
আকাশ টা দেখি
কবিতা লিখি!
ঝির ঝিরে বাতাসে
ফুর ফুরে মন;
পাখ পাখালির সুরে
আদর যতন!
মাটির গন্ধ
দেয় আনন্দ!
বাঁশি বাজে
আযান শুনি
ঘণ্টা ধ্বনি!
ফুল পাখি আলো বাতাস
সুস্থ সবল আবাস!
বাড়ী চলো তাড়া তাড়ী!
4
হযরত সুলাইমান (আ) উড়ে বেড়াতেন
একবার তিনি গভীর সমুদ্রের উপর দিয়ে যাছিলেন
বাতাসের কারণে বিশাল ঢেউ উঠতে দেখলেন
তিনি বাতাসকে নির্দেশ দিলেন থামতে
বাতাস থেমে গেল
অতপর তিনি (তার সংগী) জ্বিনদের(সমুদ্রের তলদেশের অবস্থা)
দেখার জন্য পানিতে ডুব দিতে আদেশ করলেন
তারা একের পর এক ডু্ব দিতে লাগল
তারা সমুদ্রের তলদেশে একটি শুভ্র মুক্তার
ক্ষুদে ঘর পেল, যার কোন দরজা নেই
তারা এ সম্পর্কে সুলাইমান (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে অবহিত করলো
হযরত সুলাইমান (আ) তা উত্তোলন করার আদেশ দিলেন
হযরত সুলাইমান (আ) এটা দেখে আশ্চার্যান্বিত হলেন
তিনি আল্লাহ তায়ালার নিকট দুআ করলেন
ফলে তা ফেটে গেল এবং তার একটি দরজা উন্মুক্ত হল
তিনি আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, তাতে একজন সুদর্শন যুবক
আল্লাহর উদ্দেশ্যে সেজদারত অবস্থায় আছে
হযরত সুলাইমান (আ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন
তুমি মানুষ নাকি জ্বিন?
যুবকটি বলল, না আমি মানুষ
হযরত সুলাইমান (আ) বললেন, কিসের
বদৌলতে তুমিএ মর্যাদা লাভ করেছ?
যুবকটি বললঃ পিতামাতার সাথে সদাচারণ করে
আমারএকটি বৃদ্ধ মাতা ছিলেন
তিনি চলতে ফিরতে পারতেন না
আমি উনাকে আমার পিঠে করে বহন করতাম
তিনি আমার জন্য দোয়া করতেন, 'হে আল্লাহ
তাকে সৌভাগ্য দান করে
তার উপর তুমি রাজি ও খুশি হয়ে যাও
আমার মৃত্যুর পর তার আবাস এমন স্থানে বানাও
যা ভূপৃষ্ঠেও নয় এবং আকাশেও নয়
যখন তিনি মৃত্যুবরণ করলেন
আমি তখন সর্বহারা হয়ে গেলাম
সমুদ্রের উপকূলে ঘুড়ে বেড়াতাম
একদা আমি সেখানে একটি সুন্দর শুভ্র মুক্তার ঘর দেখতে পেলাম
যখন আমি তার কাছে গেলাম, তখন তা খুলে গেল
আমি তাতে প্রবেশ করলাম, আল্লাহর কুদরতে সেটি বন্ধ হয়ে গেল
তাই আমি জানি না আমি ভূপৃষ্ঠে না শূন্যে
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার অভ্যন্তরেও
আমাকে রিজিক দান করেন
হযরত সুলাইমান (আ) জিজ্ঞাসা করলেন,
তার অভ্যন্তরে কিভাবে তোমার নিকট রিজি্ক আসে?
সে বলল, যখন আমি ক্ষুধার্ত হই, তখন পাথর থেকে একটা গাছ বের হয়
সেই গাছে ফল ধরে এবং তা থেকে দুধের চেয়ে শুভ্র,
মধুর চেয়ে মিষ্টি এবং বরফের চেয়ে ঠান্ডা(সহনীয়) পানি বের হয়ে আসে
আর আমি তা খাই ও পান করি
যখন আমি পরিতৃপ্ত হই এবং পিপাসা মিটে যায়
তখন তা অদৃশ্য হয়ে যায়
হজরত সুলাইমান (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন
তুমি এখানে দিন রাত্রির পার্থক্য কিভাবে বুঝ?
সে বললঃ যখন সুবহে সাদিক হয় তখন ঘরটি শুভ্র
আলোয় আলোকিত হয়ে যায়
আর যখন সুর্য অস্তমিত হয়, তখন তা আঁধার হয়ে যায়
অতপর হযরত সুলাইমান (আ) আল্লাহর কাছে দু'আ করলেন
ফলে ঘরটি জোড়া লেগে গেল
অতপর সমুদ্রের গভীরে আপন স্থানে ফিরে গেল!
(সংগ্রিহিত)
(Edited 9 MAY 2015)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem