***শিশুর মত***
বাবু আমি তোমারি মত
চোখে দেখি রঙ
কখনো রাঙ্গাইনি
বল তাতে কিবা দোষ
বাবু আমি তোমারি মত
চোখে দেখি রঙ
কিন্তু পার্থক্য বুঝিনা
ওরা গাল মন্দ করে
কি ভাবে লোফার হই বল
বাবু আমি তোমারি মত
চোখে দেখি রঙ
স্পর্শও করিনা
অরা ভাবে আপদ যত!
বাবু আমি তোমারি মত
আমারও স্বাদ আহ্লাদ আছে
কিন্তু মনের ক্যানভাস অই রঙ সইতে পারে না!
***সব চেপে চলো***
তোমার নীরব হাঁটার মধধে
তোমার অবকাশে
তোমার মধধে
কিছু সৃতি
কিছু ঘটনা
কিছু লোকের কথা
যা তুমি যদি ভাবো
যা তুমি যদি খুলে ধর
খুঁজলেই পাবে
সৃতির পটে এসে যাবে
ঘুরে ফিরে ভাবতে পার
তাই বলি
কিবা বরতমান
কিবা অতীত
কিইবা ভবিষ্যৎ
সব তো মাথাতেই থাকে
থাকে হাতে বা পা' তে
থাকে অন্তরে
উপায় কি?
সব চেপে চলো
***সম্রাটের উত্তরাধিকার নির্বাচন***
সম্রাট বৃদ্ধ হয়ে পড়ছেন
একজন উত্তরসূরী দরকার।
রাজ্যের সকল তরুণদের একসঙ্গে ডেকে পাঠালেন;
প্রত্যেককে একটি করে বীজ দিলেন।
সবাই বীজটি বপন করে উৎপন্ন চারা নিয়ে আসবে;
যার চারাটিকে পছন্দ করব,
সেই হবে পরবর্তী সম্রাট।
আবদুল্লাহ একটি বীজ পেলো,
বীজটি বপন করে পরিচর্যা করতে লাগল;
কিন্তু চারা গজানোর কোনো লক্ষণ দেখা গেল না।
৩ সপ্তাহ, ৪ সপ্তাহ, ৫ সপ্তাহ পেরিয়ে গেল।
আবদুল্লার মধ্যে একটা ব্যর্থতাবোধ দেখা দিল।
শুধু অপেক্ষায় থাকল কখন তার বীজটি থেকে চারা জন্মাবে।
দেখতে দেখতে একটি বছর পেরিয়ে গেল;
তরুণরা তাদের চারা নিয়ে সম্রাটের সামনে উপস্থিত হলো।
খালি টব নিয়েই আবদুল্লাহ রাজ দরবারে উপস্থিত হলো।
দরবারের মেঝেতে খালি টব রাখতেই অন্যরা হাসিতে ফেটে পড়ল;
সম্রাট আসলেন;
তরুণদের স্বাগত জানালেন;
কক্ষ পরিদর্শন করলেন।
আবদুল্লাহ কেবল পেছনে লুকানোর চেষ্টা করলো;
সম্রাট বললেন, “আজ তোমাদের একজনকে পরবর্তী সম্রাট হিসেবে নিয়োগ দেবো।
সম্রাট কক্ষের পেছনে আবদুল্লাহ-কে খালি একটা টবসহ লক্ষ্য করলেন।
তাকে সামনে নিয়ে আসার জন্য সম্রাট নির্দেশ দিলেন।
আবদুল্লাহ ভয় পেয়ে গেল।
আমাকে আজ হয়তো মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হবে।
আসার পর সম্রাট তার নাম জানতে চাইলেনঃ
“আমার নাম আবদুল্লাহ”
তরুণরা তাকে নিয়ে মজা করতে লাগল।
সম্রাট সবাইকে শান্ত হতে বললেনঃ
সকলের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করলেন,
তোমাদের নতুন সম্রাটকে দেখে নাও,
তার নাম আবদুল্লাহ।
আবদুল্লার বিশ্বাস হচ্ছিল না।
চারাগাছ তো দূরের কথা, তার বীজটি অঙ্কুরিতই হয়নি।
সে কীভাবে নতুন সম্রাট হবে।
'একবছর আগে এখানে উপস্থিত সবাইকে একটি করে বীজ দিয়েছিলাম'
তোমাদের সবাইকে গরম পানিতে সিদ্ধ করা বীজ দিয়েছিলাম।
তোমরা সবাই আমাকে দেখানোর জন্য চারা নিয়ে এসেছ।
বীজটি গজাবে না ভেবে তোমরা আমার দেওয়া বীজটির বদলে,
অন্যকোনো বীজ বপন করেছিলে।
একমাত্র আবদুল্লাহ সেই তরুণ যে সততা ও সাহসের সাথে,
আমার দেওয়া সেই বীজসহ খালি টব নিয়ে উপস্থিত হয়েছে;
অতএব, সেই হবে নতুন সম্রাটঃ
যদি সততা বপন করো তবেই ফলবে বিশ্বাস!
(collected)
***হে ফিলিস্তিনি নারী তোমাকে সালাম***
হে ফিলিস্তিনি নারী
তোমাকে সালাম।
এত কষ্টের মাঝেও
তুমি নারীঃ
কারো মা তুমি;
কারো বোন তুমি;
কারো বা ভাবী;
বা কারো মিষ্টি বধু!
এতো কষ্টের জীবন তোমারঃ
তবু কি সাহস!
কি যে মধু!
বুকের শিশু বুলেট বিদ্ধ!
বাবা মা নাই!
বা স্বামী হারা!
হে ফিলিস্তিনি নারী
তোমাকে সালাম!
এত কষ্টের মাঝেও
তুমি আছো আজও আছো? ?
(Edited 10 MAy 2015)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem