১
গন্তব্য কোথায়?
জানিনা!
ও বিশাল নদী
তোমার গন্তব্য কোথায়
ও বিশাল নদী
তোমার সমাপ্তি কোথায়
ও বিশাল নদী
তুমি কি সুখ আছো
ও বিশাল নদী
তুমি কেন কাঁদ
ও বিশাল নদী
মধ্য দুপুরে তুমি কি কর
না না না
দুঃখ রাখি ছেপে
চলি মেপে মেপে!
২
**ঝুলন্ত সেতুখানা**
মরচে ধরা, ধুলু পড়া
ভাঙ্গা দালান পাস্তার ছাড়া;
এক পাশেতে বটের ঝুড়ি;
যাবে কি না শুন্নে উড়ি
বুড়া দাঁতে থুড় থুড়ি।
নব কিশলয় হাসে;
ছোট্ট বালক পাশে।
ছুঁইও না বাতাস
ছুঁলে সর্বনাশ!
দেখে রক্ত হিম
জীবন ঘোড়ার ডিম!
৩
**তালা বদ্ধ মনে**
কাঁদতে পারিনি আমি
এক ফোঁটা অশ্রু ছিলনা চোখে
মনটা ছিল তালা বদ্ধ
নাকি অন্য কিছু
পরে কেন কাঁদলুম
এতটা কি স্বার্থের কান্না
বল জাসিয়া
এতা কি চাবুক নয়
মা তো এক বেচারা
সেইত যত্ন আর সেবা করে
জাসিয়া, মা মনি আমার
সুখে ঘুমাও!
৪
**পানি আসে, পানি যায়**
পানি আসে পানি যায়
আমি করি হায় হায়
আহারে নদীর দেশ
বাংলাদেশে এখন পানি নেই
আমনের মৌসুমে খেত পানি থই থই করত
সেখানে এখন পাম্প বসিয়ে সেচ দিতে হয়
অন্য কোথাও বা পঞ্চাশ বছরের সবচে ভয়াবহ খরা
তবু আমাদের বুক কাঁপেনা
সৃষ্টি কর্তার সাথে পানিচুক্তি আছে কি?
“ তিনি যদি পানির স্তর নামিয়ে নেন”
তাহলে ভূ-পৃষ্ঠে কে দেবে পানি?
আমরা এই হুমকির থোড়াই কেয়ার করি
তোমরা অপচয় করোনা, আল্লাহ অপচয়কারীকে ভালবাসেননা
ভালোবাসার থোড়াই কেয়ার করি
এ ভালোবাসা দিয়ে কি করব?
৫
**ভাই একটা লাইক দিন**
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
যা লিখি না কেন!
বাংলা আমার প্রাণের কথা
যতই সাধারন হোক!
বাংলা যে হাত পা আমার
কম জানাতেই সুখ!
বাংলা মায়ের ভাষা আমার
সব সুখেরই সুখ!
ভাই একটা লাইক দেন না
ভাষা জ্ঞানে কমজোর!
৬
**মেঘ ডাকে আয় আয়**
মেঘ ডাকে আয় আয়
আমি যাই বিছানায়
মেঘ ডাকে
বিশাল গর্জন করে
মেঘ ডাকে চোংগা দিয়ে
আমি ঢাকি মাথা
মেঘ করে ফিস ফিস
লেপ কাথা ডিসমিস
মেঘটা দিল কেঁদে
বারান্দায় চলে গেলাম
বৃষ্টির পানি ছোঁব বলে
পানি নয় চোখের জল
এ জলে মেঘের দু চোখ
করে সল সল!
৭
**সরবোচ্চ কাংখিত বিষয়**
জানালার পাশে বসে অপেক্ষমাণ
বাড়ীর পাশ দিয়ে রেল লাইনটা
একটা কাঠের টুলে বসে
বিড়ালটা হাত পা চাটে
আসে পাশে কিছু হাস মুরগী
একজন শহর থেকে আসবে
আজকে আসার দিন
বিকেলের শেষ রেল গাড়ীটি
সরবোচ্চ কাংখিত বিষয়
যদি না ফিরে আসে তো?
৮
**সরে গেল হলুদ কুয়াশার দেশে! **
সেই প্রাইমারী সকুল থেকে
যাকে দেখলাম
সে নেই
আর নেই!
ঘণ্টা বেজে গেছে!
মিষ্টি হাসি মুখ আর নেই
চলে গেছে এক রাশ দুঃখ দিয়ে
এভাবে চলে যায়............
কিছু মুখ ভুলা যায় না
কিছু দুঃখ সহা যায় না!
এতো আপন কেও না
তবু কেন জানিনা!
অইত সে দিন গফুর চলে গেল
এক রাশ দুঃখ দিয়ে
আমার আপন কেও না!
কেদো না মন
ফজল গফুর যাহাংগির আর জাসিয়া
এক হয়ে গেল!
ফজল পাগল ছিল
গফুর ঘর ছেড়ে স্কুল এসে থাকত
জাহাঙ্গির সুস্থ মানুষ!
সবাই অকালে ঝরে গেল
মরে গেল!
সরে গেল!
হলুদ কুয়াশার কাছে!
৯
**হৃদয় দোলা ঢেও**
মিশটি বাতাস বহে
হৃদয় দোলা ঢেও
অনবরত প্রবাহ তাতে
মাথা নত কোরে
খেলে যায় ঢেও
আলুথালু চূল গূলূ
দেখেছো তা কেও
সবুজের পর্দা
সবুজের ঢেও
ণীল সবুজ আর হলুদ
বাতাস দোলায় সেনা
সূর্যের খেলা
ধান খেত
শক্ত সমেত!
১০
**হাস খোকা খিল খিল! **
হাস খোকা
খিল খিল;
হাস খোকা
তিল তিল;
হাস খোকা
হিহ হিহ;
বুড়ো দাঁতে
থি থি;
হাস খোকা
মিষ্টি;
তুমি আমার ইষ্টি;
ইস্তি এল মিষ্টি নিয়ে
পরে গেছে ধুম;
ছোট্ট খোকায় দিয়েই দিলাম
বেশ কটি চুম!
(Edited 10 MAY 2015)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem