কাক ভোরে
কোন এক ধৈয্যচ্যূত নারীর হাত ধরে
কখনো পালাতে ইচ্ছে যে করে না তা নয়;
কিন্তু সে সন্ধিক্ষণ আর আসে না।
পাহাড়ে চড়ে
দুরন্ত কোন ঝর্ণার স্রোতে
কখনো ঝাঁপাতে ইচ্ছে যে করে না তা নয়;
কিন্তু সাহস কখনো হয় না।
হবে কি করে?
বলি, সাহসটা হবে কি করে?
চল্লিশটা বসন্ত বিয়াল্লিশ বার
বাঁদরের মতো ভেংচি কেটে গেলো;
অথচ, বুকে সাহস জন্মনোর মতো
সুঘটন কিছু ঘটলো না!
কখনো কোন নারী
তার খোলা বুকে, হাতদুটো নিয়ে বলে নি-
"খুঁড়ে দেখো,
এখানে জ্যোৎস্না আছে, ঝিনুক আছে।
এখানে নিষিদ্ধ স্বপ্নের
সুপ্ত এক আগ্নেয়গিরি আছে। "
পূর্ণিমা রাতে
সবুজ কোন নারী
তার প্লাবিত উপত্যকার শস্যক্ষেত
বাজি রেখে আমায় বলে নি-
"এনে দাও, এনে দাও আমাকে;
অনাবিষ্কৃত দুর্গম স্থানে
দুষ্প্রাপ্য যত শ্বেতপদ্ম আছে।"
যতোই চরিত্রহীন লম্পট বলো আমাকে,
নারী নিতম্বের গিরিখাত বিনা
মৃত্যুর অন্য কারনকে
আমি কখনো সার্থক মৃত্যু বলি না।
কেবল বিশেষ সেই নারীর জন্য
সুউচ্চ শিখর চড়ে,
মৃত্যুর কোলে ঝাঁপাতে প্রস্তুত আমি।
এই হতভাগ্যের কি ফাটা কপাল!
চল্লিশটা বসন্ত বিয়াল্লিশ বার ভেংচি কেটে গেলেও,
সবুজ সেইনারীকে
এখনো খুঁজে পেলাম না!
© অরুণ মাজী
Painting: Thomas Kent Pelham
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem