তুমি এলে না।
আসবে আসবে বলেও
এখনো এলে না।
অথচ তোমার আসার কথা ছিলো।
চূর্ণী নদীর তীরে
দুজনে বসে
এক আকাশ স্বপ্ন দেখার কথা ছিলো;
সব-কটা তারাকে
একটা একটা করে গুনার কথা ছিলো;
'চাঁদে কলঙ্ক কেন? '
নদীকে সাক্ষী রেখে
এই নিয়ে তর্ক করার ছিলো।
তবুও এলে না।
কথা দিয়েও
তুমি এলে না।
নারী আগুন হতে পারে
অথচ সমুদ্র হতে পারে না।
নারী ঘূর্ণি হতে পারে
অথচ শান্ত সমীরণ হতে পারে না।
নাহলে
বুকটা পুড়ে ছাই কেন?
হৃদয়টা এতো এলোমেলো কেন?
তিন মাসেও যখন এলে না
হয়তো তুমি আর আসবে না।
তবুও
রাস্তায়, পায়ের শব্দ শুনলে
ছুটে যায় কেন?
দরজায়, কেউ কড়া নাড়লে
ছুটে গিয়ে জিজ্ঞেস করি কেন-
'মালবিকা'?
লজ্জায় তিনশোবার জিব কাটলেও
তবুও সেই একই ভুল করি কেন?
একবারও কি আসতে নেই?
পথ ভুল করেও কি আসতে নেই?
বুকে ঘৃণা নিয়েও কি আসতে নেই?
না হয় বুকে ঘৃণা নিয়েই এলে!
না হয় কান ধরে
উঠ-বোস করানোর তরে এলে!
না হয় 'হ্যাংলা ক্যাবলা'
গালি দেওয়ার তরে এলে!
তুমি এলেই হলো।
তোমাকে চোখে দেখলেই হলো।
তোমার কণ্ঠস্বর শুনলেই হলো।
তোমার চুলের সুগন্ধ পেলেই হলো।
বলো-
একবারও কি আসতে নেই?
পথ ভুল করেও কি আসতে নেই?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem