কিছু মানুষ,
কেবল ছোট্ট একটু হাসি দিয়ে, মানুষের হৃদয়ে দখলদারির খুঁটি পুঁতে যায়।
তারা সাধারণ হয়েও অসাধারণ। মানুষ হয়েও কেমন যেন দেবতা দেবতা।
অথচ তারা দেবতা নয়। দেবতা হওয়ার বাসনাও এদের কোনকালে থাকে না। এরা ভীষণ রকমের এক মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই। তাই এরা ঠিক কাজও করে, ভুল কাজও করে। হয়তো পাপও করে, পুণ্যও করে। এরা গৃহী, আবার বৈরাগীও বটে।
এজন্যই উন্মাদ অরুণ মাজী তোমাদেরকে বারবার বলে- দেবতা হতে চাও? তো মানুষ হও আগে। নির্ভুল এক মানুষ নয়। ঠিক ভুল- এই দুইয়ে ভরা এক মানুষ। তাতেই তুমি দেবত্বে উর্ত্তীণ হবে। অরুণ মাজীর ব্যামো কি জানো? সে অবাস্তব কথা বলে, ফোর টোয়েন্টি পন্ডিতদের মতো- মানুষকে ঠকাতে পারে না। অরুণ মাজী মানুষের ঠিক ভুল, পাপ পুণ্য, সৌন্দর্য্য কদর্য্য- দুইকেই সমান প্রেমে আলিঙ্গন করে। কে করে? অরুণ মাজী? নাহঃ অরুণ মাজী করে না। মানুষ করে। জীবন করে। সৃষ্টি করে। মহাবিশ্ব করে। ঈশ্বর করেন।
যে ধর্মগুরুরা তোমাদেরকে নির্ভুল এক মানুষ হতে বলে, তাদের মতো- ফর টোয়েন্টি আর নির্বোধ, এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। ধর্মগুরু বলে সন্মান করা তো দূরের কথা, তাদেরকে আমি ছারপোকার সন্মানও দিই না। ঈশ্বর আঁধার সৃষ্টি করেছেন, আলো সৃষ্টি করেছেন। পুণ্য সৃষ্টি করেছেন, পাপ সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বর যেখানে- ঠিক আর ভুল, দুইকেই সমান ভাবে আলিঙ্গন করেন- তুমি হারামজাদা কোন পন্ডিত হে?
এমনই এক ঠিক আর ভুলে ভরা- মহামানব....... কে? জোরে বলো- কে? Yes, একম অদ্বিতীয়ম- উত্তম কুমার। শ্রীমান অরুণ চ্যাটার্জী।
এসো এসো, আমরা গুরুদেবের প্রয়াণ দিবস (২৪ শে জুলাইয়ে)উপলক্ষ্যে, গুরুদেবকে আমরা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করি। জয়। গুরুদেবের জয়। (উত্তম কুমার- জন্ম ৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৬, মৃত্যু ২৪ জুলাই ১৯৮০)
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem