এমনি করেই কেটে যায় দিন,
এ পৃথিবীতে শুধুই জমেছে ঋণ,
সুদ গুনে করণিক ক্লান্ত কাবু,
ধার দিয়ে বিব্রত বড় বাবু।
আকাশের নীচে বাস করি,
ভয়ে ভয়ে কভু নাহি ডরি,
বন্ধু বাতাস মেলেছে পাখনা,
বন্যা কন্যা কথা শোনে না।
এ পৃথিবী আমার ঘরখানি,
দিয়েছে সব জানে অন্তর্যামী,
সব হারিয়ে ধনী আমি অনন্ত,
আমার মনে তাই শুধুই বসন্ত।
মাটির ঘ্রানে মমতা মাখা গন্ধে,
এই দেশেতে নামে রাঙা সন্ধ্যে,
বলদরাজি পাখির সাজি সাজে,
সবুজ পাতার ডালে সূর্যাস্ত-রাগে।
জোসনাভরা ভরা ডোবা জলে,
ফালি চাঁদ ডুব দেয় তার কোলে,
কুলুকুলু কহে নদী সুরে আর ছন্দে,
রাত্রি হাসে ঝিজির নীরব আনন্দে।
রূপখানি তব নিয়েছি ভরে নয়ণখানি,
দিতে পারিনি তোমায় কিছু তা আমি জানি,
ঋণী মোরে করেছো তুমি জননী জন্মভূমি,
জন্ম দিয়ে আবার করো মোরে পুনঃ-ঋণী।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem