এক মাথা ঝাকরা চুল, চুলে তেল পড়েনি কতকাল
অযত্নে তাই রংটাও লাল বর্ণ যেন পাটের ফেসো
পরিধানে বেঢপ মাপের একটি ফ্রক, সেটাও বেশ নোংরা আর শতচ্ছিন্ন
আর পায়ের জুতো? না কোনো নামী কোম্পানীর নয়, সেটিরও মাপ বেমানান
গায়ের রং-বিশেষ করে গালদুটো যেন স্থানীয় আপেলকেও লজ্জা দেয়
মেয়েটি ভূস্বর্গে বাস করে।
মেয়েটি এসেছিল আমার কাছে এক ব্যাগ আলু নিয়ে-বিক্রি করবে বলে
অনেককাল ঘরের কেহই পেটভরে কিছু খায়নি
কারণ অনেকদিন কোনো পর্যটক এই স্বর্গে আসেনি-উগ্রপন্থীর ভয়ে!
পর্যটক না এলে এই স্বর্গ তো ম্রিয়মান।
দেবশিশুর মতো কিশোরীটিকে দেখে আমার মায়া হ'ল
আমি আলুগুলো কিনে নিলাম, শুধু আলু নয় মিশানো ছিল
আলুর মতো দেখতে কয়েকটি নুড়ি পাথরও।
আমি ফেলে দেইনি নুড়িগুলোকে, ভরা পেট আমার
আমার কাছে ওগুলো যে ভূস্বর্গের পাথর!
বাড়িতে এনে তুলসীতলায় ঠাকুরের আসনে পেতেছি নুড়িগুলো,
শুনেছি স্বর্গে নাকি সবকিছু সুন্দর, সর্বদা আনন্দ বিরাজ করে
স্বর্গে নাকি কোনোকিছুর অভাব নেই,
তাহ'লে কেন এই স্বর্গের একটি কিশোরীমেয়ে
ঠিক মতো নিজের লজ্জা ঢাকতে পারে না
কেন এই স্বর্গের এক কিশোরী মেয়ে খিদের তারণায়
আলুর সাথে নুড়িপাথর মেশায়?
কেন
হাড়-কাঁপানো শীতেও তার পায়ে মোজা গায়ে কোট হাতে দস্তানা নেই?
কেন তবে এই স্থানকে ভূস্বর্গ বলা হয়?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem