উদাসী প্রান্তরে বাউলের প্রসন্নতা
দেখেছে জীবন
ব্যাথিত ফুলের পাপড়ি
বসন্ত শেষে অরণ্যের
গভীর ছায়ায় শুয়ে আছে
মনেহয়—
আমাদের আত্মজেরা
মানুষের সুদীর্ঘ জঙ্গলে
আজন্ম বন্দির
আনম্র শিকার;
দুঃসময়ে রাষ্ট্রের
নিষ্ঠুর হাতে
প্রতিবাদের ভাষার মুখ গুলি
ক্রমশ নিশ্চুপ হয়
বুদ্ধের স্বীকৃত নভোতলে
যেভাবে দুঃখের ভার আজ
আকাশ হলুদ করে
ঝরিয়েছে অশ্রুঅণু
তপ্ত রুক্ষ মাটির বলয়ে
তার দিকে চেয়ে থাকি
নির্বাণের দ্বীপ জ্বেলে
করতলে আজও রয়েছে
সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা
সৌন্দর্যের স্তূপ হতে
বাঁশবনের মর্মর শব্দেরা
একটি কবিতার শ্বেত পদ্ম
ছড়িয়ে দিয়েছে
শান্তির বাতাসে
সেই প্রতিধ্বনি শুনে
প্রাণের সুতীব্র শিখা
দাউ দাউ জ্বলে ওঠে
ব্যাথিত অরণ্যে
সেই শব্দ শুকনো
ফুলের বিমর্ষ পরাগে
আনন্দ উৎসব গিঁথে দেয়
পলাশের বকুলের রেণুকণা বসন্ত বাতাসে
মানুষের অমর কীর্তির কথা বলে
অন্ধ রাষ্ট্রের নিয়মে
যুগে যুগে অনেক মনীষী
মরেছে অকালে
জেগে ওঠো একবার
কবিতার শব্দে
অবিচ্ছেদ্য গতির
নরম ইতিহাস
সকল সময় হাঁটে না
চূড়ান্ত অভ্রান্তের
বিবেকের পথে
নিজ অপরাধের দুর্দিনে
রাষ্ট্রের অবোধ নিয়মের স্বার্থে
মনেপড়ে—
পঞ্চপূত্র পরিবৃতা
কুন্তীর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে
কর্ণের জন্য কান্নার
বিবর্ণ সুর কঠিন সূর্যাস্তে
জাহ্নবী তটের ব্যাকুল
বাতাসে ভেসেছিল
সমাজ ও রাষ্ট্রের নিকৃষ্ট নিয়মের ডোরে;
তুমি সেই বাঁধন ছিড়বে কখন,
আমি যে বসে আছি সেই প্রতীক্ষায়
আমাদের আত্মজেরা
অরণ্যের গভীর ছায়ায়
শুয়ে থেকোনা বসন্ত রাতে
শিয়োরে দুর্দিন নিয়ে
জেগে ওঠো
সকলকে অপ্রতিভ করে
মণেরেখো—
জ্বলে উঠবো আতীব্র
সমবেত কণ্ঠস্বরে—
মানুষের অমর কীর্তিরা
মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে
রুক্ষ তপ্ত পথে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem