মনেপড়ে-
পরনের নির্বাক শাড়িটি শুষে নিয়েছিলো
জ্যোৎস্না মাখা যোনিজল
আদিম প্রাণের ঋতুগানে
আর তুমি বেজেছিলেসারাটি রাতের তপ্ত সুরে
তারপর আকাঙ্খার হলুদ বীজের ভেতর
সন্তান সন্ততি এসেছেনীল চেতনার রঙে
নদীর দুকূলে ব্যথিত ক্ষয়ের প্রত্যেকটি
অন্ধকার রন্ধ্রে তুমি একাকী বিশ্বস্ত মেধার
কল্পনা দিয়ে গড়েছো জলজজন্ম
কচুরি পানার নীরব দুঃখের ছায়া শুয়েছে তোমাকে ঘিরে
জোৎস্নার আলোর নিচে পূর্ণিমার প্রাচীন বারান্দা ভেঙ্গে
অলৌকিক যন্ত্রনা ছেয়েছে সুতীব্র রুপালি মেঘধুলো
অরূপের নির্জন দেহের ঐশ্বর্য ভেসেছে সমুদ্রের ঋতুগানে
তারপর একদিন সূর্যযাপনের সে মরু বালিকা ফুটে ওঠে
আমার অন্তিম আকাশের অভিজাত দেহ ছুঁয়ে
জ্বলে উঠি
অনিবার্য সূর্যাস্তে ধ্বংসের বীভৎস প্রপাতে
গাঢ ধূসর ভোরের চকচকে শিশিরের শীতল শরীর শুষে নেয়
সুপ্রাচীন রৌদ্র মাখা যোনিজল
পরনের শীতার্ত শাড়িটি নির্বাক তাকিয়ে থেকেছে
নিষ্পাপ বিনিদ্র রাত্রির কুয়াশার প্রাণে...
সে রাতের ঔদ্ধত্য প্রস্তাবে
নির্জনতা অরূপ রূপের সমুদ্র ঢেউয়ে বেজেছিলো
কেঁপেছিল পালি ও প্রাকৃত সকল দর্শন জীবনের গানে
মনেপড়ে-
পুরাতন স্বরলিপির
রহস্যময় তপ্ত সুরে আমাদেরগোধূলি বিছানা
বেজেছিলো একাকী সারাটি রাত সুপ্রাচীন ঋতু গানে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem