আমাদের অস্তিত্ব ব্যথিত করে
জোনাকি রাত্রিতে কেঁপেছিল
দিনান্তের প্রিয় প্রতিশ্রুতি গুলি
হাহাকারের শিকড়ে জন্মের সুতীব্র ঘ্রান আর
আতুরের গন্ধে মেঘে ঢাকা শান্ত পৃথিবীর সমাহিত রূপ
নরম শিশুর স্থির মুখে ফুটে ওঠে
মেঘে ঢাকা উজ্জ্বল প্রাণের তন্দ্রাতুর চোখ
আর দুধগন্ধে ভরা মুখে চেয়ে থেকে দেখেছি
পৃথিবী অবিরল তার সৃষ্টি ভালোবেসে
বইছে নিজের জীবন গভীর স্রোতের ভেতর
অস্তিত্বের চারপাশে এক শুভ বিশ্বাসে
নতুন মেধারা জন্মেছে- সেইসব আত্মজের গাঢ় ভালোবাসা
হতাশার এমন ক্লান্তির দিনে
বাঁশিওয়ালার অনন্তের সুরে কম্পিত হয়েছে তারপর
প্রাচীন মাটির সত্তার গভীরে নিজেকে নিহিত দেখে
সূর্যাস্তের বিমূর্ত দেহের বুকে ছুটেছে আকুল হয়ে
পূর্ণিমার রুপালি নদীর জলজ শরীরে
সকল আত্মীয় ছুঁয়ে স্মৃতিপথের কালের বিস্তারে
মিলিয়ে গেছে চেতনার স্রোতে
গোধূলি জ্যোৎস্নার নশ্বর রাতের দেহে
সেইসব আত্মজের হৃদয়ের নরম আলোর মাংসে
পৃথিবীর কিছু বর্বর দেহের মানুষের মাথার বিষাক্ত নীল
চিরকাল সুন্দরও স্নিগ্ধের বিপক্ষে কঠিন নোঙ্গর গিথেছে;
ফুল পাতা নদি সূর্য ও স্নেহের আকাশ মাটিকে নষ্টকরে
প্রাকৃত সন্ধ্যার বুক হতে রক্ত ঝরিয়েছে
তবু স্মৃতি ও বিষাদে ঐশ্বর্যের এক করুন আলোর
গভীরতা নিয়ে চেয়েছিল সেই প্রাণ
কোনো এক আদিম ভোরের দিকে
যেখানে বৃক্ষের উদার আকাশে
অরন্য পাখির কলতানে উড়ে যায় সেই নীলবিষ
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem