আর কতকাল আঁধারের প্রাণ চিরে
প্রসন্ন হাসির জন্য চেয়ে থাকবো
গোধূলি দিগন্তের চিরস্তব্ধ নীলে
আজ দিনান্তে গ্রামের সোঁদা ঘ্রান
স্নিগ্ধ রাত্রির অন্তরে বাজে
আর জনশূন্য মাঠে আদিম ভাস্কর্য
শূন্যলোক থেকে নেমে আসে বুকে
বেদনার প্রতিভাস অবিরল
স্নেহের শরীর বিদ্ধ ক'রে
নিয়ে যায় কালান্তক স্রোতে
রয়ে গেলো মরা নদীজলে
ব্যক্তিগত কিছু দুঃখ
একদিন আকাঙ্খার পৃথিবীতে
কোথাও দূরের পল্লীর শূন্যতা
জেগে উঠবে আমার উপকূল ছুঁয়ে
আলোমাখা ডানার প্রাচীন গন্ধে
আমার ঘুমন্ত হৃদয় জেগেছে একাকী
প্রচ্ছন্ন রক্তপাতে
শূন্যে ধ্বনিত সকল শব্দেরা
আজও ঘুমন্ত হৃদয়ে ভাসে
রেখে গেলাম-
দেহের প্রত্নরাত
অদেখা শূন্যের চূড়ান্ত বিস্তৃতি
শীতসন্ধ্যার রুপালি জল
তোমাকে খুঁজেছি এই সকল
প্রাকৃত রাত্রির পশ্চিম শূন্যে
রয়ে গেলো-
মহাজন্মের জ্বলন্ত আগুনে বোধের জন্ম
রয়ে গেলো-
সূর্যাস্তে রাজার ছড়ানো মুকুট
বিশ্বাসে বিশ্বাসে রয়ে গেলো
সান্ধ্য ভাষার নীলাভ ছায়াপথ
দুরহ ঝঞ্ঝার পর একদিন নৈঃশব্দে
একান্তে জেগে উঠবে আমার অস্তিত্ব
গোধূলি দিগন্তের চিরস্তব্ধ নীলে
সেইদিন এই প্রত্নদেহ তোমাকে খুঁজবে-
সুদূরের কোনো মহুয়ার বনে
কাঁকুরে মাটির লাল পথে
আঁধারের প্রাণ চিরে
প্রসন্ন হাসির জন্য খেলবো
জ্যোৎস্নার ঘুমন্ত প্রান্তরে
সমাহিত রাত্রির একান্ত বুকে
বুড়িগঙ্গার গভীরে খুঁজে নেবো
শৈশবের রাত্রির তরঙ্গে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem