আমার বান্ধবী
মাধবী বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রথম মিলনে বুঝেছিলাম মেয়েটি অসাধারন একজন
কিন্তু আমি তো সাধারন।
ও যথার্থই জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ করতে পারে
আমি তো জীবনে এমন মেয়ে দেখিনি যে
ইষ্টবেঙ্গল মোহনবাগান ম্যাচ দেখতে ময়দানে যায়
বিয়ের কথা শুনলে পা ছড়িয়ে কাঁদে!
আবার পণ করে বসে আছে বিয়ে যদি করতেই হয়
নিজের পয়সাতেই করবে।
আবার জীবনে তার নাকি টার্গেট মানস সরোবর যাওয়া।
স্বামী শশুর শাশুড়ী দেওর ননদ আর একটি ছেলে নিয়ে সংসার আামার
সংসারের নানা হ্যাপার মাঝেও সদা সচেষ্ট থাকতে হয় আমাকে
পাশের বাড়ির এই মেয়েটির প্রতি-
এই বুঝি বান্ধবীটির আমার মেজাজটি বিগড়োলো আবার!
সারাদিন সংসারের কাজের ফাঁকে পাশের বাড়ির মেয়েটিকে
শান্ত রাখার জন্য প্রস্তাব দিতে হয়
সুনীল দত্ত নার্গিস কিংবা সুচিত্রা উত্তম দেখতে যাওয়ার।
এমনিতে তো খুবই ভাল- ছেলেটির স্কুলের সাজেসন,
শরীর খারাপ হলে ডাক্তারের ব্যবস্থা করা, ছেলের যাবতীয় বায়নাক্কা সামলানো,
কিন্তু অমনিতে একটু অবুঝ -যখন কাজের পাহাড়ে ডুবে হিমসিম খাচ্ছি
এসেই হুকুম, -চলো যেতে হবে ‘মাদার ইন্ডিয়া' দেখতে নয়
নয়ত সুচিত্রা মিত্রের গান শুনতে রবীন্দ্রসদনে'
অবশ্য তৈরী হবার জন্য নিজেও হাত লাগায়।
কখনো বলে-চুপ করে বসো আমার কবিতা শোনো, নতুন কবিতা'।
এদিকে আমি খাবি খাচ্ছি!খাবি খেতে খেতেই কবিতা শুনতে হয় বইকি!
একটি ভাল ছেলের সন্ধান পেলে হয়
কিন্তু কে বলবে বিয়ের কথা
ঘাড়ে তো আমার একটাই মাথা।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem