আমার মনটা তখন নেচে ওঠে
প্রতি অবসরে আমি ভ্রমনে যাই একাকী
কখন পাহাড়ে কখনো জঙ্গলে কখনো সাগরে কখনো মরুভূমিতে
অনুধাবন করেছি মানস সরোবরের মাহাত্ম্য
অবাক হয়ে দেখেছি বাহারী নীলবর্নের বৈচিত্র মন্ডিত পাংগং সো
দেখেছি সিন্ধুনদ ব্রক্ষ্মপুত্র নদ সায়ক নদী নুব্রা নদী
আর তার ভ্যালীতে ছোট্ট গ্রামটিকে
কৈলাসের গাম্ভীর্য্য শ্রদ্ধা জানিয়েছি দিরাফুক থেকে
শিহরিত হয়ছি দুরের ঐ পর্বতশিখরকে স্পর্শ করে
পাহারের বাহারী ঝর্নায় সিক্ত হয়ে অভিভূত হয়েছি
মুগ্ধ হয়ে দেখেছি -এক শতাব্দী ধরে যে ভাস্কর্য সম্বলিত
যে গ্রামখানি তৈরী হয়েছিল -সেই খাজুরাহকে দেখে
দেখেছি চিতওয়ান মধুমালাই বান্ধবগড়ের মতো গা হিম করা ঘন অরন্য।
মরুভূমিতে দেখেছি আদিগন্ত বালুকাবেলা
দেখেছি তিন সাগরের মিলনস্থল, মিলিত হয়েও স্বমহিমায় স্বতন্ত্র তারা
দেখেছি গঙ্গা সাগরের সঙ্গম মহিমা
এখন যখন একাকী থাকি কিংবা জীবন যন্ত্রনায় আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধি আমি
থাকি নিরালার খোঁজে
এসব ছবিগুলো আমার অন্তরের দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে
নির্জনতার আশির্বাদ হয়ে।
আমার হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হয়ে যায়
সংসারের হিসাব নিকাশ পাওয়া না পাওয়াগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়।
কখনো মনটা তখন চলে যায় মনসর লেকের পারে
ঐ শালিখ পাখির মতো তিড়িং তিড়িং করে নাচতে থাকে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem