আমি কেবল মাঝে মাঝে অস্তিত্বময় হয়ে উঠি
কেবলই মাঝে মাঝে।
সন্ধ্যের জনারণ্য মেলবোর্ণ শহর-
হাঁটছি তো হাঁটছি;
কেউ আমাকে- দেখেও দেখে না
শুনেও শোনে না।
কেমন যেন অস্তিত্বহীন আমি।
হটাৎ-ই ফোনটা বেজে উঠে।
ওপার থেকে নার্সের তাগাদা-
'ডাঃ মাজী, রোগী মর-মর
এখুনি আসতে হবে।'
হটাৎ-ই আমি যেন, অস্তিত্বময় হয়ে উঠি।
কার্ডিয়াক এরেস্ট-
রোগী 'শকে'র জোরে জাগছে
আবার মরণের কোলে ঘুমিয়ে পড়ছে।
জাগছে, ঘুমিয়ে পড়ছে
জাগছে, ঘুমিয়ে পড়ছে।
'এই ছিলো, এই নেই
এই ছিলো, এই নেই।'
ভাবতে ভাবতে, মধ্যরাতে একাকী রাস্তায় আমি।
আমার পায়ের শব্দে
কোন এক বাড়ি থেকে, একটা কুকুর চীৎকার করে উঠে।
আমার চেতনা ফিরে আসে।
কুকুরের চীৎকারের আগে
নিজে- নিজেকে অনুভব করি নি।
তাহলে মুমূর্ষু রোগীরই শুধু-
'এই ছিলো, এই নেই' দশা নয়।
সুস্থ সবল ডাক্তারেও, একই দশা হয়।
গাছের ফাঁক দিয়ে দেখি-
তারাগুলো- জ্বলছে, নিভছে; জ্বলছে, নিভছে
মনে মনে গুনগুন করে উঠি-
'এই ছিলো, এই নেই
এই ছিলো, এই নেই।'
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem