চার বছর আগে আমার বড়দিন কাটত অন্যরকম,
ব্যাংকের প্রেসারকুকারের চাপ শেষে সিটিমারা মুক্তির
আনন্দে বাড়ি ফিরতাম সবচেয়ে দামি কেকটি নিয়ে।
কামরা ভর্তি রেলযাত্রী চাপে দরজা ঝোলা পকেটমারের
মতো দিব্বি কাটাতাম সে দিনের পৌঁনে দু-ঘন্টার যাত্রা।
বড়দিন মানে তখন একটা নিয়মহীন অবাধ আনন্দের দিন,
ব্যাংকের কীবোর্ড, মাউস, কাস্টমার ভুলে চুরুইভাতির দিন।
পাড়ার ক্লাবে আট থেকে আশি সবাই হত বেজায় খুশি।
ধুলো পরা ব্যাডমিন্টন সেইদিন চকচকে হত অজানা হাতে,
কিংবা ভুলে যাওয়া ক্রিকেটের অফস্পিনের কসরত আর
মাংস ভাতে দশ ঘন্টার দিনটা কাটত বেশ সবার হাত ধরে।
আজ বড়দিন আছে, আছে একই আনন্দ, উন্মাদনা, চুরুইভাতি।
আমিও আছি, আছে আমার দেহ, কিন্তু বেজায় অস্বাভাবিক কম্পবান;
নিউরনে চোট, ছোট্ট ক্ষত, দরজা-ঝোলা দেহ আজ দরজা বন্দি রুগী।
আজ কেক আসে অন্যের হাতে, আনন্দ প্রকাশের কম্পবান ভাষায়
আজ আমি প্রকাশ করি আমার বিকলাঙ্গ বড়দিনের বেজায় খুশি।
আজও আমার সঙ্গী ল্যাপটপ আর ডিস্ক লাগানো রঙিন টিভি,
কিন্তু বড় বেয়ারা তারা, আমার কম্পবান তর্জনীর নির্দেশ শোনে না।
পুরোনো ব্যাডমিন্টন ঝোলা কালো পেরেকে আজ মাকড়সার বাসা,
ঘরের কোনে কাঠ ফাটা ব্যাটটা পুরানো বড়দিনের এক মূর্ত সাক্ষী আজ।
অফস্পিনের কসরত ভুলে আজ আমি কোহলির ইন্ডিয়ার বোবা 'ফ্যান'।
ছোট বড়দিনের দশ ঘন্টার আনন্দ আজ আমার কাছে অন্তহীন সময়!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem