তোমার তরে, আগে আগে-
ছোট্ট ডোবা থেকে, উথালপাতাল নদী সেজেছি আমি।
রাতের আঁধারে, ছেনে ছেনে; ধরিত্রীর অমৃত পান করে-
আমার ভরা গাঙে, উচ্ছ্বাসী উন্মত্ত প্লাবন এনেছি আমি।
একটু তো সাঁতার দাও অমল, একটু তো সাঁতার দাও।
তুমি ডুব সাঁতার কাটবে বলেই না, আমার বুকের এতো গভীরতা
তুমি প্রজাপতি সাঁতার কাটবে বলেই না, আমার নিতম্বের এতো কাতরতা।
তুমি চিৎ সাঁতার কাটবে বলেই না, আমার নাভির এতো উন্মত্ততা!
সাঁতার জানো না?
তুমি কেমন পুরুষ মানুষ হে অমল, তুমি কেমন পুরুষ মানুষ?
নদী বুকে যে ঝাঁপিয়ে পড়ে না, সে কেমন পুরুষ মানুষ?
জোয়ার জলে যে ভাসতে চায় না, সে কেমন পুরুষ মানুষ?
উথাল পাতাল ঘূর্ণিতে, ডুবে যে মরতে চায় না- সে কেমন পুরুষ মানুষ?
নদীর একটু জল তো খাও অমল, একটু জল তো খাও।
ভাসতে ভাসতে দেখিয়ে দেখিয়ে, আমার একটু জল খাও
ডুবতে ডুবতে লুকিয়ে লুকিয়ে, আমার একটু জল খাও
মরতে মরতে বাঁচতে চেয়ে, আমার একটু জল খাও।
তুমি কেমন পুরুষ মানুষ হে অমল, তুমি কেমন পুরুষ মানুষ?
ভরা গাঙে ঝাঁপিয়ে পড়ো না, তুমি কেমন পুরুষ মানুষ?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem