তুমি হাত রাখো
জেগে উঠি আমি
স্নেহের করুন ছায়াকোলে।
আমার সমূহ দেহপটে
আঁকা চিহ্নগুলি একে একে স্পর্শ করো
জুড়াবে জীবন তোমার আদিম বুকে
অঘ্রান সকালে ফসলের
মঞ্জুরী আমার
দিকে চেয়ে থাকে, মনে হয়
সেখানে তোমার ভালোবাসা জমে আছে…
তুমি স্পর্শ দাও
আমি জেগে উঠি,
বিগত জন্মের বহু সোনালী রোদ্দুর
প্রেম চেয়ে স্নেহ চেয়ে মরণের পর পৃথিবীর নরম নাভিতে
ফিরতে চেয়েছে বারবার
হে মৃত্যু, তুমি তো যন্ত্রনার সেই আদিম বিকার।
নক্ষত্রবৃষ্টির রাতে প্রাচীন আতঙ্কে বিদ্ধ করে
বিরত করেছো আমাদের নাভিগর্ভের- অতীত
গুল্মগন্ধ থেকে
অন্ধকার পৌরাণিক বর্ষে
হাহাকার- নশ্বরতা ঘুমন্তের হৃদয়কে ক্লান্ত
করে নিয়ে যায়
নিঃশব্দে ধূসর অজান্তের
অগাধ অস্তিত্বে।
সকলে ভোরের
মাটিতে পা- রেখে
সৃষ্টির প্রাণের গানে নিজেকে জাগায়।
কোনো একদিন
অসুস্থ সন্ধ্যার
শোক নেমে এলে
দেববাতাসের
গোধূলি আকাশ
জীবন ছড়ায়।
সুদূরের প্রান্তরের অবোধ্য শূন্যতা
বুকে বেজে গেলে
তোমাকে চেয়েছি অঘ্রানের
সমস্ত সকালে
যেখানে সকল ভালোবাসা
অনন্তে ছড়িয়ে
রয়েছে সূর্যের আলো হ'য়ে
তুমি আরো একবার হাত রাখো বুকে, জেগে উঠি-
কাঙ্খিত করুন
কোলের উত্তাপে
স্পর্শ দাও এই
বিধ্বস্ত শরীরে
দশমুখ অন্ধকারে মাতৃজঠরের
সৌরভে স্পন্দিত হবো আরো একবার
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem