সূর্যাস্তের অস্তরাগে পাখির ঝাঁক যখন বাঁজ পরা তালগাছের
পাকে কাটছে চক্করনিজের ঘরের ছোট্ট দারের সঠিক খোঁজে,
মরা গাছের পাশে সদ্য বিকশিত আলু পল্লবে জমছে বিন্দু শিশির।
অঘ্রানের চড়া শীতে মরা দিনের শেষে তালতলায় দাঁড়িয়ে এক বালিকা,
কোদাল হাতে, কাজ শিখছে দিনের শেষে, চকচকে কপালে বিন্দু ঘামে
বেশ কয়েকটা আঁকাবাঁকা রেখা, ভূগোল বইয়ের নদী মানচিত্রের মতো।
আগামী মাসে তার বিয়ে, মুখে হলুদ মাখা ভুলে হাতে নিয়ে কোদাল,
প্রত্যেক নিখুঁত কোঁপে ধারালো করছে তার মায়ের শেখানো শিক্ষাকে।
শ্বশুরবাড়িতে পরীক্ষা হবে, পেতে হবে দক্ষ শ্রমিকের ফার্স্ট ক্লাস মানপত্র।
বিয়ে হবে, হাতে হবে মেহেন্দি, পরবে শাঁখা, পালা, চুড়ি ও আরো কত কি,
কিন্তু একদিনের ওই শক্ত হাতে সাঁওতাল মেয়েটি আজীবন ধরবে কোদাল।
অন্তহীন কোঁপে প্রমান দেবে সে দক্ষ শ্রমিক, উপযুক্ত আদিবাসী পুত্রবধূ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem