লক্ষ্মী রাতে জ্যোৎস্নার চাদরে ও ল্যাম্পপোস্টের আলোয়
চকচকে শহর যখন আলোর রোশনাই-এ ঝকমকে,
চেয়ে দেখো ঐ দূরদেশে, ঐ মরুভূমির হাহাকার,
আঁধারে মানুষের সঙ্গী আলো জ্বালা জোনাকির লন্ঠন।
পূর্ণিমার সুগোল চাঁদ যখন অসীম সৌন্দর্যের থালা,
ঐ শোনো, ঠান্ডা বালুতে ক্ষুধার থালার বাজনা।
ঢাকের বোলে যখন বেসামাল মানুষ নৃত্য করে আনন্দে
তখন ঐ দূরে দূরবীনে দেখা যায়, ক্লান্ত পরিশান্ত পথচলা।
আজকের রুগ্ন রুটি ভাগ করে খেলে কম পড়বে একটা
কালকে বোধহয় চাল পাওয়া যাবে, হবে সিদ্ধ সাদা ভাত।
এখানের ভাজা ভাত আর মাংসের কিমা যখন চূড়ান্ত বিস্বাদ,
ওখানে কী স্বাভাবিকতা! নুন-জল-ভাত যে অমৃত।
সজল ধারার করুনায় মস্ত জলাধার যখন ফাঁকা,
চেয়ে দেখো, রাঙা রমণীর বালির গর্তে বাটি ডোবানোর দৃশ্য।
আসাধারণ! আমার স্মার্টফোনের ওয়ালপেপার ঐ রমণী।
সত্যিই মনে রাখার মতো এক বৈচিত্র্যময় আজব সভ্যতা।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem