হেমন্তের অরণ্যে বসে আমি যখন লাল রক্তে লিখছি চিঠি
তোমার জন্য, হে বন্ধু, তুমি তখন অনেক দুরে পাহাড়ের ঢালে।
আমার লেখা কি পৌঁছাবে, না কি এই শেষ চিঠি স্মারক হয়ে
রবে তোমার ডায়েরির শেষ ছেঁড়া পাতায় মুড়ানো স্মৃতিকোনে?
অতন্দ্র প্রহরী আমি, বন্দুকের নল নিশ্বাস নিতে নিতে আজ ক্লান্ত,
তর্জনী আজ বিবশ, কাঁপা বুলেট হয়তো কারও বুকে করছে খোদাই
যুদ্ধ জয়ের উন্মত্ততায় আর ফিরে আসার তাগিদে তোমার কোলে।
রক্তের দাবানল আর কাটা মুণ্ডুহীন দেহের কফিনে লিখেছি 'শহীদ'।
কালকের মারাঠি বন্ধুটি শেষ ডিউটি করে ফিরছে ঘরে আমার কাঁধে,
পেরেক বন্দি কফিনে ঘাড়হীন দেহে অনেক রজনীগন্ধার সুগন্ধ মালা।
একটার পর একটা, আবার একটা, অনন্ত অনন্ত শহীদের কফিন-সারি।
ও বন্ধু! আমার অনিশ্চিত জীবনের খাতায় যদি পরে লাল কালি
কভু যেন কেঁদোনা আমার তরে, কেঁদো ওই অজস্র কফিন গুলোর জন্য।
বিশ্বাস করো, আমি বলছি, তোমার চোঁখের জল শুকাবেই স্পিরিটের মতো।
কোনো সন্দেহ নেই গর্বে তোমার বুক পাবে ওই লম্বা হিমালয়ের প্রশস্ততা
যখন তুমি চোখ মুছে পরবে আমার জন্য অমর শহীদের শৌর্য পদকের মালা।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem