চিরকাল
নরের সীমাহীন নেশা
নারীর নগ্ন বুকে।
অথচ নারী বক্ষ
এক তাল মাংস বৈ আর কিছু নয়-
একটু নরম, একটু গরম
একটু উঁচু নিচু, একটু ঘুটঘুটে অন্ধকার!
সৃষ্টিতে, এমন নরম গরম
উঁচু নীচু উপত্যকা যুক্ত
অনেক পাহাড় ঝর্ণা মালভূমি আছে।
কিন্তু কোন নর-ই তো
সাধনা ভুলে, সেই সব পাহাড়-ঝর্ণা-নদী বুকে
তার অকাল মৃত্যু খুঁজে না!
কেন? কেন নর
কেবল নারী বুকেই, তার অকাল মৃত্যু খুঁজে?
প্রায় তেত্রিশ লক্ষ বছর আগে
আমাদের আদি পিতা-
আদমের সঙ্গে,
বটুর চায়ের দোকানে
ভুরুক ভুরুক করে, গাঁজা টেনেছিলাম আমি!
কথায় কথায়, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম-
আমাদের আদি মাতা-
ইভের সুউচ্চ বুক
ঠিক কতটা নরম গরম, কতটা উষ্ণ উষ্ণ ছিলো?
আদি পিতা আদম
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলো-
আসলে কি জানিস অমল
পৌরুষযুক্ত পুরুষ, ঈশ্বর অপেক্ষাও শক্তিমান!
বীর পুরুষের পৌরুষত্ব
স্বর্গের অমৃতকেও, বড় বেশী পাত্তা দেয় না।
তাই তাদের অহঙ্কার ধ্বংসের
এক সুদৃশ্য কারন থাকতে হবে।
আর নারীই সেই সুদৃশ্য কারন।
পুরুষের অহঙ্কার বিনাশের জন্যই
রূপের সৃষ্টি। মায়ার সৃষ্টি। নারীর সৃষ্টি।
পুরুষজাতি
হুঙ্কারে কেবল একটা পিঁপড়ে মারে।
আর নারী-
গালে টোল ফেলে হেসে হেসে
সমগ্র পুরুষ জাতিকে বগলদাবা করে
রগড়ে রগড়ে মারে।
এরপর আদি পিতা আদম কেঁদেছিলো।
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে, পিতা আমার
বটুর চায়ের দোকান ভাসিয়ে দিয়েছিলো।
হেনকালে আদি মাতা ইভ,
ঝাঁটা হাতে চায়ের দোকানে এসে
আদি পিতাকে জিজ্ঞেস করেছিলো
'মিনসে, কাঁদছিস কেন? তুই কাঁদছিস কেন? '
আদি পিতা আদম
ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দিয়েছিলো-
কাঁদছি? কই? না তো।
বটুর উনুনের ধোঁয়াটাতে
চোখে বড় জ্বালা লেগেছিলো কিনা!
চিরকাল
নরের সীমাহীন নেশা
নারীর নগ্ন বুকে।
কেন? কেন নর
কেবল নারী বুকেই, তার অকাল মৃত্যু খুঁজে?
আদি পিতা আদম
গাঁজার ঘোরে সেদিন আমায়
সব, সব বলেছিলো।
© অরুণ মাজী
Painting: Zhao Kallin
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem