অবজ্ঞার আগুনে পুড়লে
পুরুষ এক মহাপুরুষ হয়।
যন্ত্রণার আগুনে পুড়লে
নারী এক মহিয়সী নারী হয়।
অলস, অধৈর্য্য মানুষ
কেবল রামধনু নিয়েই হৈ চৈ করতে চায়।
কিন্তু কে কবে, সূর্য হৃদয়ে
অনন্ত দহনের তীব্রতা মাপতে চায়?
পূর্বজন্মে
ভগবান বুদ্ধের ব্যবচ্ছেদ করেছিলাম আমি।
হৃৎপিণ্ডে তার
স্ত্রীর আঁকা চুম্বন ছিলো
সন্তানের আঁকা আঙুল ছিলো
মায়ের আঁকা অশ্রু ছিলো
সমগ্র ধরিত্রীর আঁকা আর্তনাদ ছিলো।
প্রশান্ত মহাসাগর
কেবল পৃথিবীর জন্যই প্রশান্ত।
কিন্ত তার হৃৎপিণ্ডে
আদি অনন্ত কাল ধরে যে অগ্ন্যুৎপাত চলছে
কে-ই বা তার খবর রাখে?
সূর্যের মতো জ্বলতে গেলে
সূর্যের মতো পুড়তে হয়।
সুনামির মতো বইতে গেলে
সাগরের মতো উত্তাল উদ্বেল হতে হয়।
ধাতু না পুড়লে
সে খাঁটি কখনো হয় কি?
মানুষ না পুড়লে
মহান সে হয় কি?
যন্ত্রণাকে কেন ভয় হে মানুষ
যন্ত্রণাকে কেন ভয়?
যন্ত্রণা মাঝে মহানির্বাণ তোমার
যন্ত্রণা মাঝে জয়।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem