চুলে পাক ধরেছে?
লোকজন তোমাকে তাই ঠাট্টা করছে?
প্রেমের কবিতা পড়ো ভাই, প্রেমের কবিতা পড়ো।
তুমি যৌবন ফিরে পাবে।
জীবনে অবসাদ আর ক্লান্তি?
প্রেমের কবিতা পড়ো ভাই, প্রেমের কবিতা পড়ো।
তোমার হারানো উচ্ছ্বাস ফিরে পাবে।
জীবনের বেশির ভাগ সমস্যার সমাধানের পথ, বেশ ভালো রকমের সোজা। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা আমাদের কুটিল মানসিকতার জন্য, চোখের সামনে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকা, সহজ সমাধানকে দেখেও দেখি না। আমরা সহজ জিনিসকেও, জটিল করে ভাবতে ভালোবাসি।
যৌবন ফিরে পেতে- আমরা চুলের চিকিৎসার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার কসমেটিক্স আর ওষুধ ব্যবহার করছি, চোখের কালি মুছার জন্য গাদাগাদা টাকা ডাক্তারকে দিচ্ছি। তবুও আমাদের দেহ আর মনে, তারুণ্য বা যৌবন আর ফিরছে না।
আমরা জীবনকে বোঝা ভাবি, সংসারকে ঘানি ভাবি, স্বামী-স্ত্রীর নিছক "রসিকতাকে"- "হিংস্র অপমান" ভাবি। কেন? কারন- মনে আমরা ক্লান্ত আর অবসন্ন। জীবনে আমাদের বিতৃষ্ণা এসে গেছে।
এই সমস্যার সমাধান কি খুব কঠিন? মোটেই না। জীবনে অনেক ছোট্ট ছোট্ট জিনিস করতে পারো, যাতে তোমার মনে- যৌবনের উচ্ছ্বাস আবার ফিরে আসবে। তুমি করো না। কেন করো না?
সকলেই পন্ডিত আর ভদ্র হতে চায়, কেউ একটু হাসতে চায় না। বুড়ো হয়েছো তো কি হয়েছে? মাঝে মাঝে একটু চ্যাংড়ামো করতে পারো না? তোমরা তিরস্কারের সুরে আরেক মানুষকে বলো- "বুড়ো বয়েসে চ্যাংড়ামো? "
কেন, চ্যাংড়ামো কি পাপ নাকি? তোমরা জানো- হাজার বছর ধরে পালিত তোমাদের অন্ধবিশ্বাসকে বারবার চ্যালেঞ্জ করি আমি। কে প্রমাণ করতে পারবে, চ্যাংড়ামো করা, কারও পক্ষে ক্ষতিকর?
আমি কিন্তু প্রমাণ করতে পারবো- চ্যাংড়ামো করা, দেহ আর মনের পক্ষে খুবই স্বাস্থ্যকর। চ্যাংড়ামো- দেহ আর মনে যৌবন ফিরিয়ে আনে। বুড়ো হয়েছো তো কি হয়েছে? গিন্নীর সাথে একটু ইয়ার্কি মারতে পারো না? তাকে, তিনপাতা লম্বা একটা প্রেমপত্র লিখতে পারো না?
মানুষের হৃদয়, মন, আর স্বাস্থ্য যারা বোঝে না, তারাই আজ পন্ডিত সেজে মানুষকে উপদেশ দেয়। ফল? মানুষ, আরও বেশি বেশি যন্ত্রণার গহবরে নিমজ্জিত হচ্ছে। তবুও কেউ অরুণ মাজীর কথা শুনছে না! কেন? বাংলার লেখক আর প্রকাশনা গোষ্ঠী আমার লেখা প্রকাশ করতে দেয় না বলে?
শুনবে। একদিন তোমরা শুনবে। তবে সেদিন বড় দেরী হয়ে যাবে।
© অরুণ মাজী
Painting: henri-guillaume-schelesinger
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem