তৃষ্ণার্ত রাত্রির বুকে মৃত্যুর বিষন্ন ঘ্রাণ
মানুষের মুখের শরীর বিবর্ণ পান্ডুর করে—
দূরের দিগন্ত হতে ভেসে আসা যাদের কান্নার শব্দ
আর চোখের গভীরে গণসমাধির প্রতিচ্ছবি
আমাকে ব্যাকুল করে তাদের প্রবিত্র রক্তে-অশ্রুজলে—
তুমি জ্বলে ওঠো হে আমার রৌদ্রজ্ঞান
এই নরকের গর্ভে বিষঘ্রাণ-দগ্ধ উৎসবের দিনে
আমার দুঃখিনী জন্মভূমি বারবার
মেধাহীন মস্তিষ্কের কাছে প্রসন্নতা ভিক্ষা করে
নতজানু হয়…
মানুষের মেধাবী যন্ত্রণা সূর্যাস্তের পর ঘন হয়ে আসে
গোধূলির সমস্ত আকাশ মুহূর্তে ধূসর বাষ্পে ছেয়ে গেলে
সে নিস্তব্ধতার অন্তরঙ্গে জীবনকে
দেখেছি অবিরাম ঝরে যায় মৃত্যুর গহ্বরে
অগণন জীবনের মধ্যে এই মৃত্যুঝড় তোমাকে চেয়েছে
তুমি এসো মিছিলের পদশব্দে—
অনিবার্য সত্যের মৃত্যুতে
তুমি সেই শবের উপর চিরকাল জ্বলে ওঠো
ধূ ধূ মাঠে রুক্ষ পথে শূন্যে ভাসমান কবিতার শব্দগুচ্ছ
ছুটে দ্রোহহীন তোমাকে জাগাবে বলে
দিন প্রতিদিনের অভ্যাসে শোষণে জন্মেছে যন্ত্রণার
নীলবিষ হে আমার রৌদ্রজ্ঞান তাকে তুমি ছিন্নভিন্ন করো
পৃথিবীর ঘুমন্ত ভূমিতে জন্মেছিল যারা
আজো যারা নিবিড় জড়িয়ে আছে আমার অস্তিত্বে
যাদের সম্ভ্রান্ত জীর্ণ পাঁজরের তলে
হাহাকারে নিকষ কালোর অন্ধকার বয়
তুমি তাদের জাগাও
তুমি এসো
তোমার রক্তাক্ত উষ্ণ বুকে
মাথা রেখে জেগে উঠবো আবার
হে আমার রৌদ্রজ্ঞান বিমর্ষ বুকের অন্ধকার এই দুর্দিনে তোমাকে চায়
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem