মনেহয় তুমি
জ্যোৎস্নার রূপালী রোদ্দুরে ছড়িয়ে আছো
অঘ্রানের ধানভরা ক্ষেতে দেখেছি তোমাকে
ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছো দূরের আকাশে
মনপোড়া স্তূপীকৃত অজস্র অক্ষর
তোমার প্রকাশ চেয়েছিল
সূর্যহারা দিনে
তারা বিজুবন
নদী ভালোবেসে
দুঃখমাখা মেঘভাঙা জলে ভেসে গেছে
কোনো এক অনন্তের হেমন্ত রোদ্দুরে
দু'হাতে নিয়েছি মাতৃস্নেহ
পৃথিবীর অকৃপণ দান
তবুতো আমরা
উঠি নাই ভরে
চিরকাল রয়ে গেছে কিছু
শূন্যতা ভাঁড়ারে
জীবন প্রপাতে
ঝরে যায় ঘাস মাটির অনেক স্বাদ
মরণের ব্যথা
লাগে নাড়িজালে
ভয়মুখ -আকুলতা জাগে
হা ঈশ্বর! নাভিফুল গেলো
ঝরে ঘুমঘোরে
রাত্রি শেষে কবে আর মৃত্যু
সুন্দর করেছে এ ভুবন
চিতার আগুনে
গোধূলি আলোর শব্দহীন
কঙ্কাল রইলো
ভেতরে আমার—তুমি চির স্তব্ধ হোলে
সমূহ মুহূর্ত গুলি নিয়ে তুমি জেগে
রইলে জননী— ওগো মা আমার, আমার ভেতর
মাঝ যমুনায়
ব্রজের বালক মহাশূন্যে যে ভাস্কর্য এঁকেছিলো—তাকে খুঁজি
তোমার নরম স্তব্ধ মুখে
হলুদ পাতারা কতবার
উড়েছে জোৎস্নার
রূপালী রোদ্দুরে
হয়তো সেখানে ছড়িয়ে রয়েছো তুমি
বিকালের শেষ সূর্য যখন পশ্চিমে
পা রাখে—সন্ধ্যায়
মা তোমার মুখ ভেসে ওঠে বুড়ি গঙ্গার গভীরে
অঘ্রানের আঁধারের স্তব্ধতায় তুমি জেগে রইলে জননী
ওগো মা আমার
আমার ভেতর
অবিনাশী সময়ের বুক চিরে আজো অন্ধকার ভেঙে গেলে
ভালোবাসা দিয়ে— সুগভীর স্তব্ধতায়
সূর্যহারা দিনে
মনপোড়া স্তূপীকৃত অজস্র অক্ষর ভেসে গেলো
দুঃখমাখা মেঘভাঙা নদীজলে রক্তচিতা বিঁধে
কোনো এক দিকচিহ্নহীনপুরে হেমন্তের দূর বিজুবনে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem