রাতের ঘুমন্ত অন্ধকারে
এমাটিতে অনর্গল গূঢ় হত্যার বেদনা ফুটে
শিশিরে ভিজেছে
যে রক্ত-শরীর
সে শুধু জেনেছে
জন্মের যন্ত্রণা
রাত-পাখিদের অন্ধ গলির ভিতর
বীভৎস চিৎকার
হে পৃথিবী যে আগুন রোজ নষ্ট করেছে তোমাকে
কি শর্তে নিজেকে
তার কাছে সমর্পণ করি পবিত্র সন্ধ্যার শেষ
দিনে
চিতার জ্বলন্ত কাঠে অনন্ত রোদ্দুর
দেখেছি, যদিও মধ্যরাতের মিলন
অসমাপ্ত পড়ে আছে পৃথিবীর জ্ঞানেরবসন্তে
বিদায় তো অনুভব এইকথা জেনে
বেঁচে থেকে রোজ ক্ষয়ে গেছি
প্রাচীন আনন্দে
মাটির ঘনিষ্ট স্বাদ পেয়ে
শতধারে শুধু রক্তপাত...
নিজের ধমনী নিজে ছিঁড়ে
দেখি অকারণ কষ্ট পায়
রাতের ঘুমন্ত অন্ধকারে
এমাটিতে অনর্গল হত্যার বেদনা ছুঁয়ে আছি
যদিও সুদীর্ঘ এই জঙ্গলে তোমার
জ্যোৎস্না ভেসেছিল একদিন
প্রাকৃত সন্ধ্যার শান্ত হলুদ পাতারা
ঝরেছিল বুকে
এখানে এখন শালবনের অস্থির দীর্ঘশ্বাসে
দুঃখিত শব্দেরা
ভাঙছে আকাশ
সকলকে রেখে গিয়ে এ দুর্দিনে
কিশর্তে নিজেকে
চিতার জ্বলন্ত কাঠে সমর্পণ করি
রক্তের বিপন্ন বীজ রেখে গেলাম তোমার
গর্ভে... এমন দূর্দিনে, যত্নে রেখো
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem