তখন আমি ছোট, বয়স বছর দশেক হবে
চার বা পাঁচ ক্লাসের ছাত্র, সম্ভবতঃ প্রাইমারী
গ্রামে বাইরের লোক আসে না বললেই চলে
কিন্তু সেবার গ্রামের ধারে আমবাগানে
যাযাবর এসেছিল, অনেকগুলো পরিবার
বন্ধুরা দল বেঁধে দেখতে গেলাম
গুটি গুটি পায়ে, মনের কোণে ভয়
সন্ধ্যা তখন প্রায় হয় হয়।
কথা শুনে মনে হলো ওরা সাঁওতাল
একটা পরিবারের কাছে গিয়ে দেখলাম.......
দুটো ন্যাংটো ছেলে আনন্দে লাফাচ্ছে
ইঁদুর-পোস্ত খাবে বলে, বাপটা হাঁড়িয়া খাচ্ছে
পাশে ওদের মা রান্নায় ব্যস্ত
তিনটে ফরমা ইঁট পাতা উনুন
তার উপর নতুন মাটির তাওয়া
লকড়ি'র আগুন লকলকে, সাথে পাখার হাওয়া।
লেজ সমেত দুটো ঝলসানো মেঠো ইঁদুর
পোস্তর ঝোলে ফুটছিল, খলবল করে
ইঁদুর দুটো ফুলে ঢোল, কালচে গোল
মনে হচ্ছিল আস্ত দুটো পোড়ানো বেগুন
ওদের ইঁদুর-পোস্ত খাওয়া দেখি নি....
কিন্তু ফুটন্ত ইঁদুর-পোস্ত মনে গেঁথে আছে
আজও বোঁটা সমেত পোড়ানো বেগুন দেখলে
ইঁদুর-পোস্ত'র কথা মনে পড়ে যায়।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem