বিশ্বজুড়ে সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিগত অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন- করোনা সর্ব্বমারী-ই শেষ সর্ব্বমারী নয়।এরপরও অদূর ভবিষ্যতে সর্ব্বমারী আবার আসবে।
মানুষ এখন বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে। ফলে, সর্ব্বমারী আবার বিশ্বজুড়ে ছড়াবে। এবং বেশ দ্রুত। এরপর রয়েছে "বিশ্ব উষ্ণায়ন" (Global Warming) , প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়। অর্থাৎ, মানুষের আগামী ভবিষ্যৎ, বেশ ঘন ঘন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।
আজ বিশ্বের সমস্ত অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, ক্রমশ আরও বেশি বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। ন্যানো টেকনোলজি, Artificial Intelligence, DNA manipulation ইত্যাদি ব্যাপক আকারে আসছে। এর অর্থ কি?
এর অর্থ হলো, আগামী ভবিষ্যতের এইসব ভয়ানক চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হলে, আমাদের বিজ্ঞানের জ্ঞান চাই। বিজ্ঞান জ্ঞানে শিক্ষিত নেতা চাই। বিজ্ঞান চিন্তাধারায় চিন্তা করে, এমন ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান নেতা চাই। কেন? কেবল বিজ্ঞানই অসাধ্যকে সাধন করে। চাঁদ মঙ্গল মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও, বিজ্ঞানই তাকে জয় করতে পারে। কেবল বিজ্ঞানের পদ্ধতিতেই কঠিন সমস্যার সমাধান খোঁজা সম্ভব।
আগামী ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাকে, নিশ্চয় করতে হলে, আমাদেরকে প্রতি মুহূর্তে বিজ্ঞানকে প্রয়োগ করতে হবে। আন্দাজে কোন কিছু করলে হবে না। শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি শিল্প প্রযুক্তিতে, উন্নয়ন- কোন ফাটকাবাজি নয়। এরও নির্দিষ্ট অঙ্ক আছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে।
ভারতবর্ষের সম্ভাবনা থাকলেও, ভারত আজও কেন বিশ্বশ্রেষ্ঠ হতে পারে নি? বাংলা আজও কেন বিশ্বশ্রেষ্ঠ হতে পারে নি? তার কারন- ভারত আর বাংলা অন্ধ বিশ্বাসে আচ্ছন্ন। বিজ্ঞানের পদ্ধতিতে আমরা চিন্তা করি না। বিজ্ঞানকে শ্রদ্ধা করি না।
ইংরেজরা সর্বস্ব লুঠ করে ভারতকে নিঃস্ব করে, তবে স্বাধীনতা দিয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে, সারা ভারত আর বাংলা জুড়ে অনাহার ও দারিদ্র্য। সেই ঘন অন্ধকার মাঝেও, বিধান রায় হুগলী আসানসোল কল্যাণী শিল্পাঞ্চলকে এমন উন্নত গড়লেন, যে বাংলার শিল্পাঞ্চলকে ম্যানচেস্টার শিকাগো ডেট্রয়েটের সাথে তুলনা করা হতো। বিধান রায় তা করতে পেরেছিলেন কেন? কারন- উনি বিজ্ঞানের ছাত্র, সমস্যাকে অঙ্ক আর বিজ্ঞান দিয়ে সমাধান করতেন। বাংলাকে বিশ্বশ্রেষ্ঠ করা একদমই কঠিন কিছু নয়। খুবই সম্ভব। অঙ্কের মতো সহজ। কিন্তু এই অঙ্কটা যে বোঝে, সে যদি বাংলার হাল না ধরে, তো বাংলা বিশ্বশ্রেষ্ঠ হবে কি করে?
তোমাদেরকে অরুণ মাজীর প্রশ্ন- তোমরা চির আঁধারে থাকতে চাও? অথবা বিশ্বশ্রেষ্ঠ হতে চাও? যদি বিশ্বশ্রেষ্ঠ হতে চাও, তোমাদের সহযোদ্ধা আমি। যদি বিজ্ঞানের পথে যাত্রা করে, আর্যভট্ট কণাদ ধন্বন্তরীর বিশ্বশ্রেষ্ঠ ভারতকে ফিরিয়ে আনতে চাও, তোমাদের সহযাত্রী আমি। তোমাদেরকে আমি ১০০% নিশ্চিৎ কথা দিলাম, অন্তত বাংলাকে আমরা একত্রে, বিশ্বশ্রেষ্ঠ করবোই করবো। দশমিক শূন্য এক শতাংশও ব্যতিক্রম হবে না। তোমরা কি এই যজ্ঞে একসাথে হাঁটতে রাজি আছো? যদি থাকো, এখনই সবার কাছে যাও, সবাইকে বলো- আমরা বিশ্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গড়বোই গড়বো। বিজ্ঞান আমাদের নেতা। বিজ্ঞান আমাদের পথ। বিজ্ঞানের ছাত্র আমাদের অনুঘটক। তুমি আমি হবো সেই অনুঘটক। আজই শুরু করো। তোমাদেরকে আমার প্রণাম।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem